ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য করা হবে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি-ভিত্তিক গবেষণাকেন্দ্র

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য করা হবে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি-ভিত্তিক গবেষণাকেন্দ্র

ঢাকা: চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি-ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনকালে তিনি এ কথা জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।

মাহমুদ আলী বলেন, ২০৩১ সালের মধ্যে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে সক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, রোবোটিক্স, সেমিকনডাক্টর, স্পেস ও জিওস্পেশিয়াল প্রযুক্তিসহ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তিকে কেন্দ্র করে ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি-ভিত্তিক গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।  

তিনি বলেন, আইসিটি খাতের রপ্তানির পরিমাণ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হবে। এ খাতের অংশীজনদের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে সব সেক্টরে স্মার্ট হয়ে ওঠার মানদণ্ড তৈরির পাশাপাশি তৃণমূলসহ দেশব্যাপী উদ্ভাবন ও গবেষণা উৎসাহিত করতে পরিকল্পিত কার্যক্রম নেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্যপ্রযুক্তির মহাসড়ক হিসেবে দেশব্যাপী নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট ও ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করণের কাজ চলমান রয়েছে। এ লক্ষ্যে ৫জি-র উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক উন্নতকরণ ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে এই বাজেট বিদায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের আকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল পাঁচ লাখ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। বিদায়ী অর্থবছরে যা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। এছাড়া বর্তমান সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট, টানা ১৬তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট এটি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৪
জিসিজি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।