ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রথম কর্মদিবসে ব্যাংকপাড়ায় ছুটির আমেজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪
প্রথম কর্মদিবসে ব্যাংকপাড়ায় ছুটির আমেজ

ঢাকা: ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে ব্যাংকপাড়ায় মানুষের আনাগোনা কম। গ্রাহকের উপস্থিতি কম, ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তারাও রয়েছেন ছুটিতে।

বুধবার (১৯ জুন) রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিলের বিভিন্ন ব্যাংক শাখায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সোনালী ব্যাকের মতিঝিল শাখায় দেখা যায়, কয়েকজন মানুষ লেনদেন করছেন। ডেস্কে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও ছিল কম। শাখাটিতে স্বাভাবিক কর্মদিবসে গ্রাহক সামাল দিতে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বেগ পেতে হয়। ঈদ শেষে প্রথম কর্মদিবসে অনেকটাই ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে। ঈদ শুভেচ্ছো বিনিময় আর সহকর্মীদের সঙ্গে খোশগল্প করেই সময় পার করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

একই অবস্থা ব্যাংকটির মিরপুরের কাজীপাড়া শাখাতেও। শাখাটির ম্যানজার নিজে অফিসের বাইরে। অন্যান্য কর্মকর্তারা থাকলেও গ্রাহক উপস্থিতি খুবই কম। মাঝে মাঝে দুই-একজন গ্রাহক আসছেন।

গ্রাহক উপস্থিতি কম রূপালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখাতেও। কিছুক্ষণ পর পর দুই-একজন গ্রাহক আসছেন। শাখাটিতে ব্যাংকের কর্মীর সংখ্যাও তুলনামূলক কম।

কথা হয় শাখাটির ইনচার্জ উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহজাহানের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ব্যাংকপাড়া খ্যাত মতিঝিল অফিস নির্ভর লেনদেন হওয়ার কারণে অফিসের কার্যক্রমের ওপর নির্ভর করে ব্যাংকের লেনদেন। ঈদের আগে বড় ব্যস্ততা গেছে। আবার পুরোপুরি জমে উঠতে দুই-একদিন সময় লাগবে।

তিনি বলেন, আমাদের কর্মীদের কেউ কেউ ছুটিতে আছেন, বিশেষ করে যাদের বাড়ি অনেক দূরে তারা ছুটিতে আছেন। ব্যাংকের গ্রাহক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কর্মকর্তারাও কর্মস্থলে চলে আসবেন।

গ্রাহক কম, ব্যাংকের কর্মকর্তারা বসে আছেন, এমন চিত্রই দেখা যায় মতিঝিলের এক্সিম ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক ও মধুমতি ব্যাংকের শাখাতেও। ব্যাংকের অল্পসংখ্যক গ্রাহককে সামাল দেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে ঈদ শুভেচ্ছ বিনিমিয় করছেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গ্রাহক এবং ব্যাংক কর্মকর্তা উভয়ের মধ্যে ঈদের আমেজ বিরাজ করছে।

কথা হয় ব্যাংকের একজন গ্রাহকের সঙ্গে। তিনি একটি বেসরকারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফিন্যান্স বিভাগের কর্মকর্তা। নাম আমিরুল ইসলাম। অফিসের টাকা তোলার জন্য ব্যাংকে এসেছেন তিনি। আমিরুল বলেন, আমাদের অফিসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী এখনো কর্মস্থলে আসেনি। অফিসের একটি জরুরি কাজের জন্য কিছু টাকা তুলতে এসেছি, শিগগিরই চলে যাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।