ঢাকা, শনিবার, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

টেকসই উন্নয়নে সমুদ্রসম্পদ কাজে লাগাতে হবে: প্রতিমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
টেকসই উন্নয়নে সমুদ্রসম্পদ কাজে লাগাতে হবে: প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা: অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেছেন, সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও এর যথাযথ ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার চলতি অর্থ বছরে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে। সামুদ্রিক সম্পদের গবেষণা ও কাজে লাগানোর জন্য এ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত ‘সমুদ্র সমৃদ্ধি- বাংলাদেশে নীল অর্থনীতির অনুঘটক‘ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ‘ব্লু ফাইন্যান্স‘ ব্রেকআউট সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সেশনে সম্মানিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য বিপুল সামুদ্রিক সম্পদকে কাজে লাগাতে হবে। ব্লু ফাইন্যান্স শুধু অর্থ মন্ত্রণলায়ের বিষয় নয়, এর সাথে অনেক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অংশীদারত্ব রয়েছে। ইন্টারনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন বিশ্বে বিভিন্ন দেশে ব্লু -বন্ড ও ব্লু -লোন ইস্যু করছে, বাংলদেশও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং আইএফসি দেশে ব্লু -বন্ড চালু করার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা ও ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য ব্লু-ইকোনমি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন,  সরকার পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে বিনিয়োগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।

১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের ওপর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চল এবং সম্পদের ওপর দেশের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উদ্ভাবনী অর্থায়ন মডেল অপরিহার্য। আমাদের ব্লু -ইকোনমি সেল সামুদ্রিক খনিজ এবং অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য ২০টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় করে কাজ করছে; বলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান র‌্যাপিডের চেয়ারম্যান ড. আব্দুর রাজ্জাকের সঞ্চালনায় ‘ব্লু  ফাইন্যান্স‘ সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের প্রফেসর ড. লেইলা চৌকরুন; সিএমএসএফের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তারেক; বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোশিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান ইমাম এবং ইউএনডিপি প্রজেক্ট ম্যানেজার আমিনুল আরেফিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২৪
জেডএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।