ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শ্রমিকদের ৫২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০২৪
শ্রমিকদের ৫২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, ভোগান্তি চরমে

সাভার (ঢাকা): সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে টানা ৫২ ঘণ্টা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছেন বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা। এতে করে যেমন ভোগান্তিতে পড়েছেন মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা তেমনি প্রভাব পড়েছে নিত্যপণ্যের বাজারেও।

 

বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুর ১২ টা পর্যন্ত প্রায় ৫২ ঘণ্টা টানা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখায় কাঁচাবাজারের সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে কাঁচা মরিচ, বেগুন, করলাসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।  

এর আগে গত সোমবার সকাল নয়টার দিকে পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা। যা আজ বুধবার পর্যন্ত চলমান রয়েছে।  

সোমবার থেকে সড়কে টানা অবরোধের কারণে সবজি বা কাঁচা বাজারের কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে এসব পণ্যের সরবরাহ মোটামুটি বন্ধ হয়ে গেছে। তাই খুচরা ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়েছেন বলে দাবি করেছেন আড়তদাররা।

খুচরা সবজি ব্যবসায়ী তোফাজ্জল বাংলানিউজকে বলেন, গত দুই দিন ধরে মরিচের সরবরাহ নাই। মরিচের এমনি একটু দাম বেশি। তাই মানুষ কম কিনছে। দুই দিন আগে মরিচের দাম ছিল ২০০/২৪০ টাকা কেজি। আজ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।  

সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হলে আবার দামও স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) লে-অফ করা বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দিন ধার্য করা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ কোনো ধরনের পাওনাদি পরিশোধ না করে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি তিন মাস সময় চেয়ে কারখানার গেটে একটি নোটিশও দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। পাওনাদি পাওয়ার আশায় সকালে কারখানায় গেলে নোটিশে আরও তিন মাস সময় চাওয়ার বিষয়টি দেখতে পান শ্রমিকরা। এসময় উত্তেজিত হয়ে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বুড়িরবাজার রোড এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। অবরোধের টানা ৫২ ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও কোনো ধরনের আশ্বাস না পাওয়ায় প্রত্যাহার করেনি শ্রমিকরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্ডস গ্রুপের এক শ্রমিক বলেন, আমাদের চুক্তির দিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিশ্বাসযোগ্য লোকজন ছিলেন। কিন্তু সেই চুক্তিও ভঙ করেছে মালিকপক্ষ। আমাদের অনেক শ্রমিক চাকরি না পেয়ে গ্রামে চলে গিয়েছিলেন। তারা বকেয়া পাওনাদির জন্য গ্রাম থেকে এসেছেন। এখন মালিকপক্ষ ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না। আমাদের সবাই হতাশ করেছে। পাওনাদি না পাওয়া পর্যন্ত অবরোধ প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।

এব্যাপারে শিল্পপুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২৪
এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।