ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিএজেএফের সঙ্গে মতবিনিময়ে কৃষি সচিব

সারের ভর্তুকি থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের পরিকল্পনা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪
সারের ভর্তুকি থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়ের পরিকল্পনা

ঢাকা: কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, গত অর্থবছরে দেশে শুধু সারের জন্য প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছিল। এসব ভর্তুকি দেওয়া নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।

এজন্য সারে দেওয়া ভর্তুকি নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে অপচয় রোধ ও ন্যায্যমূল্যে সার আমদানি করতে পারলে বছরে তিন হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করা সম্ভব। পর্যায়ক্রমে আরও বেশি সাশ্রয় করা যাবে।  

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিবের অফিস কক্ষে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।  

সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি অনুবিভাগ) ড. মাহমুদুর রহমান, বিএজেএফের সভাপতি ও প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ, বিএজেএফের সাধারণ সম্পাদক ও কালের কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন, সহ-সভাপতি মো. মানিক হোসেন (মানিক মুনতাসির) সিনিয়র রিপোর্টার বাংলাদেশ প্রতিদিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডিবিসি নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আবু খালিদসহ নির্বাহী কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কৃষি উপকরণ সরবরাহ, কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষা ও কৃষি পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষিতে টেকসই সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।

কৃষি সচিব বলেন, এ মুহূর্তে দেশে সারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। মজুদ দিয়ে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো সংকট হবে না। পাপাই লাইনে থাকা পর্যাপ্ত সার আসতে শুরু করেছে। ফলে বোরো মৌসুমে দেশে সারের কোনো সংকট হবে না বলে আশা করছি। সারের মজুদ দিয়ে মার্চ-এপ্রিল পর্যন্ত চাহিদা মেটানো যাবে। সারে ভর্তুকি নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ভর্তুকি থেকে অন্তত আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।  

আগামী দুই বছরের মধ্যে সারের সংকট থাকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, সার পরিবহন ও মজুদের ব্যাপারে বড় একটা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যার ফলে আগামী দুই বছর পর সার সংকট নামে কোনো জিনিস থাকবে না। সারের অপচয় শূন্যের কোটায় নিয়ে আসার চেষ্টা করবো।

আগামী সাতদিনের মধ্যে আলুর দাম কমে আসতে পারে জানিয়ে কৃষি সচিব বলেন, আলু মৌসুমে আলু রোপনে যে সারের প্রয়োজন তা নিয়ে কৃষকের কোনো চিন্তার কারণ নেই। একইসঙ্গে আলুর বীজের দাম ও সারের যোগান বিষয়ে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মিটিং করে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিএজেএফের সভাপতি গোলাম ইফতেখার মাহমুদ সম্প্রতি প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মনোনীত হওয়ায় অভিনন্দন জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।