ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইসিসিবিতে পাওয়া যাবে চামড়াশিল্পের আধুনিক যন্ত্রপাতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৪
আইসিসিবিতে পাওয়া যাবে চামড়াশিল্পের আধুনিক যন্ত্রপাতি আইসিসিবিতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২৪’ প্রদর্শনীর উদ্বোধন | ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: চামড়াজাত শিল্প উদ্যোক্তাদের দোরগোড়ায় আধুনিক প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি পৌঁছে দিতে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চলছে ‘লেদারটেক বাংলাদেশ ২০২৪’। বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য বিদেশিদের কাছে তুলে ধরাও এই প্রদর্শনীর অন্যতম লক্ষ্য।

চামড়া ও চামড়াজাত শিল্পের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি তুলে ধরতে এই ট্রেড শো’র আয়োজন করেছে আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশনস প্রাইভেট লিমিটেড। এতে চামড়াজাত পণ্য তৈরির নানা ধরনের যন্ত্রপাতি নিয়ে হাজির হয়েছে চীন ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ মেলায় বাংলাদেশের চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও ফুটওয়্যার শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় মেশিনারি, কেমিকেল ও এক্সেসরিজ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় প্রযুক্তি তুলে ধরা হবে।

দুপুরে সরেজমিনে প্রদর্শনীতে গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীরা কেবল আসতে শুরু করেছেন। দর্শনার্থীদের বেশির ভাগ বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির আনা আধুনিক প্রযুক্তিগুলো দেখছেন।  

প্রদর্শনীতে আসা উদ্যোক্তারা জানান, এ ধরনের মেলা স্থানীয় উদ্যোক্তাদের জন্য সুবিধাজনক। দেশেই মেশিন দেখে অর্ডার করা যায়। এতে টাকাও সাশ্রয় হয়।

ফুটওয়্যারের কেমিকেল নিয়ে প্রদর্শনীতে এসেছে চীন-ভিত্তিক একটি কোম্পানি সিনোবেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ। কোম্পানিটির সিনিয়র সেলস এক্সিকিউটিভ শিমুল পারভেজ বলেন, আমরা এখানে ফুটওয়্যার কেমিকেল সরবরাহ করে থাকি। যত ধরনের কেমিকেল আছে সব এইখানে পাওয়া যায়। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ আইটেমের কেমিকেল আছে। আমরা এখানে প্রি-সেলস করছি, ফুটওয়্যার কেমিকেল আঠা প্রতি ইউনিট ৩ ডলার করে বিক্রি করে থাকি।

বাংলাদেশে যেসব প্রতিষ্ঠান বা উদ্যোক্তা মানসম্মত জুতা তৈরি করতে চায়, তাদের আরও বেশি দক্ষ করার জন্য বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছে আরেক প্রতিষ্ঠান হাউলং ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিষ্ঠানটির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং কান্ট্রি ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম শান্ত বলেন, আমরা জুতার উপরের অংশ, পিভিসি আপার, সোল, এবং ছাঁচের ডিজাইন এবং উৎপাদনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ার জন্য বিভিন্ন পরিষেবা দেই। আমরা আমাদের চাইনিজ টেকনিক্যাল টিমের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সমস্ত কারখানায় দক্ষ টিম নেই, সেখানে তাদের দক্ষ করে তোলার ব্যবস্থা করি। আমরা উন্নত প্রযুক্তিতে জুতা তৈরি করি। এ দেশের জুতা শিল্পের বিকাশে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন আছে।

‘লেদারটেক বাংলাদেশ’-এর আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রদর্শনীটির দশম আসরে ২০টি দেশের প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। বিগত কয়েক বছর ধরে এটি বাংলাদেশের চামড়া, জুতা ও ভ্রমণসামগ্রী খাতের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং অনুসন্ধানের সবচেয়ে পছন্দসই প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৪
ইএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।