ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তিন মাসে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ১২৮ কোটি টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
তিন মাসে সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ১২৮ কোটি টাকা ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: ব্যাংক ঋণের সুদ কমাতে সরকার সঞ্চয়পত্রের সুদ কমিয়েছে প্রায় ২ শতাংশ। এতে সঞ্চয়পত্র কেনার প্রতি আগ্রহ কমে গেছে ক্রেতাদের।

চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে ১২৮ কোটি টাকা।  

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টম্বর) এ খাতে বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ৬৯২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১২৮ কোটি টাকা কম।

গত অর্থবছরের তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মাসে বিক্রি হয় ৬ হাজার ৮২০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র।

ব্যাংকগুলোর দাবির প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৩ মে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদের হার প্রায় ২ শতাংশ করে কমায় সরকার। তবে গত অর্থবছরের জুন থেকে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে এই প্রবণতা পাল্টে গেছে।

সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গেল তিন মাসে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে পরিবার সঞ্চয়পত্র। পরিবার সঞ্চয়পত্রের বিক্রি দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯০৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্রে বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রে ৭১২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। মূলত এই তিন ধরনের সঞ্চয়পত্রের বিক্রিই বেশি হয়ে থাকে।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন মাসে মূল্য পরিশোধ করা হয়েছে ৪ হাজার ৫২৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা। আর সুদ হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে ২ হাজার ৬২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

জুলাই মাসে ডাকঘরের মাধ্যমে সঞ্চয়পত্র বেশি বিক্রি হয়েছে। এই সময়ে ডাকঘরের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ৩৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র। বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে ২ হাজার ৩২৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। সঞ্চয়পত্র ব্যুরোর মাধ্যমে বিনিয়োগ এসেছে ৯৭৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৫
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।