ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেছে প্রতিশ্রুতি বেড়েছে অর্থছাড়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
কমেছে প্রতিশ্রুতি বেড়েছে অর্থছাড় ছবি: ফাইল ফটো

ঢাকা: চলতি অর্থবছরের চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি কমেছে, তবে অর্থছাড় বেড়েছে।

চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মোট ২৫ কোটি ৭০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলারের।

এর মধ্যে ঋণ হচ্ছে ১৯ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার এবং অনুদান রয়েছে ৬ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে গত অর্থবছরের একই সময়ে (চার মাসে) উন্নয়ন সহযোগীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোট ৬৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে ঋণ ৬০ কোটি মার্কিন ডলার এবং অনুদান ছিল ৯ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিশ্রুতি কমে যাওয়া প্রসঙ্গে ইআরডি সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিশ্রুতি কমে যাওয়ার বিষয়টি বছরওয়ারি মাসের হিসাব করলে হবে না। দেখা যায় বছরের শেষ সময়ে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চুক্তি সই হলে প্রতিশ্রুতি মেকাপ হয়ে যাবে। প্রতিশ্রুতি বর্তমানে ঠিকই আছে। তবে অর্থছাড় কম হচ্ছে, কারণ বর্তমানে আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার বেড়েছে।

এদিকে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থছাড় বেড়েছে। এ সময়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে তারা ছাড় করেছে ৭৩ কোটি ১৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। যা, গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৬৯ হাজার ৯৪ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে প্রতিশ্রুতি।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে উন্নয়ন সহযোগীরা মোট যে পরিমাণ অর্থছাড় করেছে তার মধ্যে ঋণ হচ্ছে ৫৮ কোটি ৪৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার আর অনুদান হচ্ছে ১৪ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে গত অর্থবছরের চার মাসে মোট যে পরিমাণ  অর্থছাড় করেছিল তার মধ্যে ঋণ ছিল ৫৯ কোটি ২৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং অনুদান ছিল ১১ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

এছাড়া চলতি অর্থবছরের চার মাসে বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থ পরিশোধের পরিমাণ কমেছে। এ সময়ে পরিশোধ করা হয়েছে মোট ৩৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে আসল ২৯ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং সুদ ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
গত অর্থবছরের একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থ পরিশোধ করা হয়েছিল মোট ৪৬ কোটি ১৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে আসল ছিল ৩৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার এবং সুদ ছিল ৬ কোটি ৭১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি অর্থবছরের চার মাসে সবচেয়ে বেশি অর্থছাড় করেছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটির মোট ছাড়ের পরিমাণ (ঋণ ও অনুদান মিলে) ৩১ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ছাড় করেছে ১০ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। জাপান আর্ন্তজাতিক সহযোগিতা  সংস্থা (জাইকা) ছাড় করেছে ৭ কোটি ৮২ লাখ মার্কিন ডলার। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ছাড় করেছে ৪ কোটি ৯০ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। রাশিয়া ৪ কোটি ৫৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং ভারত ছাড় করেছে ৮ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার।  

বৈদেশিক অর্থছাড় বৃদ্ধির বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, গত তিন বছর ধরে প্রতিবছর বিশ্বব্যাংকের ডিসবাসমেন্ট তার আগের বছরের চেয়ে বেশি হয়েছে। এক্ষেত্রে চলমান প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ওপর মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। ডোনার এবং সরকার উভয় পর্যায়েই এটি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫
এমআইএস/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।