ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যাংকার-গ্রাহক মুখোমুখি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
ব্যাংকার-গ্রাহক মুখোমুখি ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো ব্যাংকের সমস্যা, মতামত নিয়ে গ্রাহকদের মুখোমুখি হলেন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের প্রধানরা।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ব্যাংকিং মেলায় গ্রাহকদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হন তারা।



এ সময় গ্রাহকদের প্রশ্নের উত্তরের পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন মতামতও নিয়েছেন ব্যাংক প্রধানরা।

উন্মুক্ত আলোচনায় ঋণ গ্রহণ ও সুদের হার, বিনিয়োগ, সঞ্চয়, আমদানি-রফতানি, সেবা ও শাখা, নিয়োগ বিবিধ বিষয় সেশনে ব্যাংকের কর্তাদের কাছে প্রশ্ন, অভিযোগ ও নানা পরামর্শ দেন গ্রাহকরা।

প্রশ্নোত্তর পর্বে এক শিল্প উদ্যোক্তা জনতে চান, শিল্পায়নের বিকাশ ঘটাতে দেশে কবে থেকে সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিট হবে?

এর উত্তরে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবদুর রউফ বলেন, সুদের হার কমেছে, ভবিষ্যতে আরও কমবে। তবে খেলাপি ঋণের কারণে বেশি সমস্যা হয়।

তবে এক্সিম ব্যাংকের এমডি ড. হায়দার আলী ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এমডি ইনামুল হক প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, ‘পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, বেশিদিন লাগবে না। ’
নারী উদ্যোক্তাদের ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে আনা ও গ্রেস পিরিয়ড বাড়ানোর বিষয়ে প্রশ্ন করেন কয়েকজন উদ্যোক্তা।

এর উত্তরে এবি ব্যাংকের প্রধান শামীম আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুসারে তা নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্দেশনা দিলে আরও কমানো হবে।
 
মৎস্য ঋণ দেওয়ার শর্ত শিথিল ও জটিলতা নিরসনে একজন উদ্যোক্তা প্রশ্ন করেন। একই সঙ্গে মৎস্য ঋণ বিষয়ক কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দেন তিনি।

এর উত্তরে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম বলেন, ঋণের ফলে মৎস্য রফতানিতে বাংলাদেশ পঞ্চম হয়েছে। তবে জটিলতা নিরসন করলে প্রথম হবে।

এদিকে প্রশ্নোত্তর পর্বে বেকার যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ঋণ দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করেন কয়েকজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা।

এর উত্তরে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান সেলিম হোসেন বলেন, ৫ লাখ টাকা পর‌্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ দেওয়া হয়। তবে ঋণ উপযোগী উদ্যোক্তা হতে হবে।

ব্যাংকে অতিরিক্ত সার্ভিজ চার্জ নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন কয়েকজন গ্রাহক। এ সময় তারা জানতে চান, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো নির্দেশনা আছে কিনা?

এবিষয়ে ব্যাখ্যা দেন এইচএসবিসি ব্যাংকের হেড অব রিটেইল সার্বির আহমেদ ও অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবদুল হামিদ।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে চেক জালিয়াতি ও বেসরকারি ব্যাংকে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বা বেসরকারি ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে জানতে চান গ্রাহকরা।

সোনালী ব্যাংকের এমডি ও ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার বলেন, এ ধরনের অভিযোগ ব্যাংকের জন্য হতাশাজনক।

‘এসব ‍অভিযোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগ সেল ও বেসরকারি ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

এ পর্বে এনসিসি ব্যাংকের প্রধান গোলাম হাফিজ আহমেদ, প্রিমিয়ার ব্যাংক প্রধান খন্দকার ফজলে রশিদ ও সিটি ব্যাংক প্রধান সোহেল হোসেন গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান, ডেপুটি গর্ভনর আবুল কাশেম, আবু হেনা রাজী হাসান, মেঘনা ব্যাংক প্রধান নুরুল আমিন, আইএফআইসি ব্যাংক প্রধান শাহ আলম সারোয়ার প্রমুখ বক্তব্য দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৫
আরইউ/এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।