ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রপ্তানিতে ৭৫ ভাগ আউটসোর্সিং সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
রপ্তানিতে ৭৫ ভাগ আউটসোর্সিং সুবিধা পাবে বাংলাদেশ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

ঢাকা: রপ্তানিতে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার সুবিধায় শতকরা ৭৫ ভাগ আউটসোর্সিং সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। গার্মেন্টস, কেমিকেল, প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানিতে পাবে সিঙ্গল ট্রান্সফর্মেশন সুবিধা।

সেবাখাতের জনশক্তি রপ্তানিও বেশ সুবিধা পাওয়া যাবে।
 
এসব তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
 
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের মন্ত্রণালয়ে সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
 
১৫ থেকে ১৮ ডিসেম্বর কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ডব্লিউটিও’র ১০ম মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স-২০১৫’র বিস্তারিত জানাতে এ সম্মেলনের আয়োজন করে মন্ত্রণালয়।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সমন্বয়ক ও মুখপাত্র হিসেবে কনফারেন্সে ছিলেন।
 
মন্ত্রী বলেন, নাইরোবিতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অনুকূলে দুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। একটি হচ্ছে- রুলস অব অরিজিন, অন্যটি সেবাখাতের বাণিজ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর প্রেফারেন্সিয়াল মার্কেট অ্যাক্সেস প্রদান।
 
তিনি বলেন, ‘প্রেফারেন্সিয়াল মার্কেট অ্যাক্সেস বিশেষ করে শুল্ক-কোটামুক্ত বাজার সুবিধা কার্যকরভাবে ব্যবহারে রুলস অব অরিজিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এসব শর্ত কঠিন হওয়ায় অনেক ভালো স্কীম থেকেও কোনো সুবিধা ভোগ করা যায় না। তাই এসব বিষয়ে অনেক আলোচনা চলছিল। এবার শতকরা ৭৫ ভাগ আউটসোর্সিং-এ পাওয়া সুবিধার আওতায় রপ্তানি সম্ভব হবে। ’

‘এছাড়া গার্মেন্টস, কেমিকেল এবং প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে সিঙ্গল ট্রান্সফর্মেশন সুবিধা পাওয়া যাবে’- বলেন তিনি।  
 
মন্ত্রী বলেন, ‘সেবাখাতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা দিতে ওয়েবার’র মেয়াদ নাইরোবিতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্তটি বাংলাদেশের জন্য বেশ ফলদায়ক হবে। কারণ বাংলাদেশের সেবাখাতের বাণিজ্যে বিশেষ করে- মানব সম্পদ নির্ভর সেবাখাতের বাণিজ্যে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। নাইরোবিতে গৃহীত সিদ্ধান্তের কারণে সেবাখাতের মোড-ফোর’র আওতায় জনশক্তি রপ্তানি নির্ভর সেবা রপ্তানিতে বাংলাদেশের সুবিধা হবে। ’
 
ওষুধের ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ত্ব সংক্রান্ত অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানো সংক্রান্ত ট্রিপস কাউন্সিল’র সিদ্ধান্ত কনফারেন্সে সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের বিকাশ ত্বরান্তিত হবে এবং সঙ্গে দরিদ্ররা সুলভ মূল্যে ওষুধ পাবে- জানান তোফায়েল আহমেদ।
 
এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কৃষি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ পরিবহনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
 
বাণিজ্য সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুনসহ নাইরোবিতে বাণিজ্যমন্ত্রীর অন্য সফরসঙ্গীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  
 
প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ও সচিব বলেন, ডাক্তার, প্রকৌশলী পাঠাতে আমাদের আরও প্রস্তুত হতে হবে। ১৯টি দেশ থেকে এ বিষয়ে সুবিধা পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। ১৬২টি দেশ রাজি হলেই একটি সিদ্ধান্তে রাজি হতে হবে। এটি বাণিজ্যিক বিষয়, আবেগের নয়। আমাদের চিকিৎসকদের যোগ্যতা-দক্ষতা ইউরোপে গ্রহণযোগ্যতা পেতে হবে।
 
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির বলেন, সম্মেলনে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে শুধু বাংলাদেশিরাই নয়, এদেশে চিকিৎসা নিতে আসা বিদেশিরাও কম মূল্যে ওষুধ কিনতে পারবে। ক্যান্সারসহ দুরারোগ্য ব্যধির ওষুধও কম মূল্যে পাওয়া যাবে।
 
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে আমরা খুব মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে ছিলাম। সম্মেলনটি ১৮ তারিখে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলছিলো। আমরা শুধু বাংলাদেশ নয়, স্বার্থ দেখেছি সব স্বল্পোন্নত দেশগুলোর।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫
এসকেএস/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।