ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ধাতব মুদ্রা না নিলে ব্যাংকগুলোকে অর্থদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৬
ধাতব মুদ্রা না নিলে ব্যাংকগুলোকে অর্থদণ্ড

ঢাকা: ধাতব মুদ্রাসহ কম মূল্যমানের নোট গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মানছে না দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ফলে ব্যাংকগুলোর প্রতি ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবার নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।

নতুন এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব গ্রাহকদের কাছ থেকে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ না করলে ও এ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যাংক কোম্পানি আইনে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে ধাতব মুদ্রাসহ কম মূল্যমানের নোট না নেওয়ার অভিযোগ অনেক পুরনো। তবে গেল কয়েক মাসে এ ধরনের অভিযোগ অনেক বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ওই নির্দেশনায় তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা ও কাগুজে নোট গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়। এরপরও নিজস্ব গ্রাহকদের কাছ থেকে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ না করার অভিযোগ উঠেছে ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক সময়ে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত ও ফোনে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংকের শাখাগুলো তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে ধাতব মুদ্রা যথাযথভাবে গ্রহণ করছে না। ফলে ধাতব মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে জনসাধারণ বিড়ম্বনায় পড়ছেন এবং তাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক লেনদেনে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

এমতাবস্থায় জনসাধারণের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু লেনদেন অব্যাহত রাখার স্বার্থে সব তফসিলি ব্যাংককে তাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে মূল্যমান নির্বিশেষে সব ধরনের ধাতব মুদ্রা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ নির্দেশনা লঙ্ঘন করা হলে ও এ বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিস্ট ব্যাংকে ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায় অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫
এসই/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।