ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিনিয়োগের সেরা জায়গা এখন বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬
বিনিয়োগের সেরা জায়গা এখন বাংলাদেশ ছবি: কাশেম হারুন/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশে বড় অংকে বিনিয়োগের প্রস্তাব নিয়ে আসছেন এখন বিদেশিরা। ইতিমধ্যে ১১ বিলিয়ন ডলারের (১, ১০০ কোটি টাকা) প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ।

এ দেশে আরও বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা আছে বিদেশি খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর। এদের বিনিয়োগেই বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
 
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পলিসি সামিট-২০১৬’ সম্মেলনের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হলেও বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও এতে একমত পোষণ করেন।

তারা বলেন, বদলে যাওয়া বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগে ঝুঁকি নেই। এ সম্মেলনে সরকারের নীতিনির্ধারক, দেশি-বিদেশি গবেষক ও উদ্যোক্তা মিলিয়ে ১১ দেশের ৭৩০ জন অংশ নেন, এদের মধ্যে ২৮০ জন বিদেশি বিনিয়োগকারী।
 
সমাপনী দিনে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা একটি সফল আয়োজন সম্পন্ন করতে পেরেছি। এতে আমরা ১১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। যেকোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানের আশ্বাস পেয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে বাংলাদেশে ১১ বিলিয়ন (১১০০ কোটি) ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে ভারতের বড় দুই শিল্প গ্রুপ রিলায়েন্স ও আদানি ও বাংলাদেশের সামিট। চীন, মালয়েশিয়াসহ অন্য দেশের উদ্যোক্তারা তাত্ক্ষণিকভাবে ঘোষণা না দিলেও বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।
 
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতির সূচকগুলো এখন ঊর্ধ্বগামী। অনেক দেশের চাইতে আমাদের সূচক এগিয়ে। একসময় যে দেশগুলোর নিচে থাকতাম আমরা, এখন সে দেশগুলো আমাদের নিচে।
 
উপস্থিত বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের সেরা জায়গা। এখানে বিনিয়োগ করে ক্ষতি হবে না। যারা বিনিয়োগ করেছে তাদের ক্ষতি হয়নি। অন্য অনেক দেশের চাইতে এ দেশে বিনিয়োগ লাভজনক।
 
বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুস সামাদ বলেন, দেশে বিনিয়োগে কোনো ঝুঁকি নেই। সরকার এ দেশে বিনিয়োগের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করতে আন্তরিক।
 
প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশ এখন পরিবর্তন হয়েছে। এ পরিবর্তন দেখে বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমাদের ব্যক্তি খাতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের দক্ষতা বেড়েছে। বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

এ সময় তিনি প্রবৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নের কথাও তুলে ধরেন।  
 
শেষ দিনের অপর এক সেশনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একসময় এ দেশে যে সমস্যাগুলোর কথা বলা হতো এগুলো এখন নেই। সরকার ব্যবসাবান্ধব। বিদেশের বিনিয়োগকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরিতেও সরকার আন্তরিক।
 
শেষদিনের বিভিন্ন সেশনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, এফবিসিসিআই-এর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতু ওয়াতানাবি প্রমুখ।

দু’দিনের সম্মেলনে জাপান, চীন, মালেয়শিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬
এডিএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।