ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মাস ব্যবধানে রসুনে কেজি প্রতি বেড়েছে ৪০ টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
মাস ব্যবধানে রসুনে কেজি প্রতি বেড়েছে ৪০ টাকা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর খুচরা বাজারে এক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী রসুনের দাম। এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে চিনির দাম।



খুচরা বাজারভেদে একমাসের ব্যবধানে রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

রসুনের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক মাস আগে দেশি রসুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৯০ থেকে ১১০ টাকা। বর্তমানে তা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গত মাসের শেষের দিকে আমদানিকৃত রসুনের দাম ছিল কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। যা বর্তমানে বাজারভেদে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে দেশি রসুনের মজুদ কম ও বিদেশি রসুন বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে এ কারণে দাম বেশি বলে জানান কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সালাউদ্দিন।

রসুনের দাম বৃদ্ধির পেছনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কারসাজি বলেও রসুনের একাধিক পাইকারি ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন।

তবে শান্তিনগর বাজারের রসুন বিক্রেতা আলম বলেন, পাইকারি বাজার থেকে অনেক বেশি দামে কোনো কিছুই খুচরা বাজারে বিক্রি করা সম্ভব নয়। দেশি রসুন বাজারে আসবে আগামী মাসে, তখন দাম কমে যাবে।

রাজধানীর বাজারে কেজিপ্রতি দুই থেকে তিন টাকা দাম কমেছে পেঁয়াজ ও আলুর। নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৮ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকায়।

অপরিবর্তিত দামে রাজধানীর বাজারে বিক্রি হচ্ছে ফার্মের মুরগি, ডিম ও সবজি। বাজারভেদে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। বাজার ও আকারভেদে ফার্মের মুরগির ডিমের হালি ৩২ থেকে ৩৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা দাম কমেছে ফুলকপি, পাতাকপি। প্রতিপিস ২০-২৫ টাকা, টমেটো কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত রয়েছে কাঁচামরিচ ও শালগমের দাম। কাঁচামরিচ কেজিপ্রতি ৬০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, বেগুন জাতভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
 
কিছুটা দাম বেড়েছে ধনেপাতার। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাজারে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও গত সপ্তাহে কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা। শিম প্রতিকেজি ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
 
এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি চিনির দাম বেড়েছে চার থেকে পাঁচ টাকা। চলতি সপ্তাহে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

চিনি আমদানিতে শুল্কারোপ করায় খোলা বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে একাধিক ব্যবসায়ী জানান।

২২ ডিসেম্বর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ট্যারিফ মূল্য বাড়ানোর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তবে পূর্বের মজুদকৃত থাকলেও দেশের বাজারে শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণার পর থেকেই চিনির দাম বাড়তে থাকে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
এফবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।