ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্যমেলায় ‘আখেরি অফার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
বাণিজ্যমেলায় ‘আখেরি অফার’ ছবি: রাজিব / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দু’দিন বাদেই শেষ হচ্ছে ঢাকা আন্তজার্তিক বাণিজ্যমেলার আয়োজন। মেলা প্রাঙ্গণে এখন ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ঢল।

সবাই স্টল থেকে স্টলে ছুটছেন পছন্দের প্রয়োজনীয় দ্রব্য-সামগ্রীর খোঁজে। বসে নেই বিক্রেতারাও। বেশি বিক্রিতে বেশি মুনাফা- এই নীতিতে দিচ্ছেন ‘আখেরি অফার’। ক্রেতারাও লুফে নিচ্ছেন তাদের পণ্য।
 
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) স্টলগুলো ঘুরে দেখা যায়, নারীদের পছন্দ বিভিন্ন নন স্টিক কুকারিজ, প্রসাধনী, দেশি-বিদেশি জামা-শাড়ি, অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী, সবজি চপার ইত্যাদি। আর পুরুষ ক্রেতারা ছুটছেন কোট, মোদি কোট, শার্ট, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর পেছনে। এছাড়া সপরিবারে এসে অনেকেই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আর আসবাব ক্রয়ে ব্যস্ত।
                         
মেলায় কুকারিজ সাধারণত প্যাকেজেই বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রতি প্যাকেজে ১ থেকে ২ হাজার টাকা পর‌্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আবার ২০ হাজার প্যাকেজ কিনলে অন্য পণ্যের সঙ্গে ৫০ শতাংশ ছাড়ও দিচ্ছে কোনো কোনো প্যাভিলিয়ন। প্রসাধনীতেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে ৫০ শতাংশ পর‌্যন্ত। এক্ষেত্রে চাইনিজ, ইরানি আর থাইল্যান্ডের পণ্যগুলোর দিকেই ঝুঁকছে সবাই।

এদিকে দিল্লি অ্যালুমিনিয়ামে ক্রেতাদের ভিড় সর্বোচ্চ বলে জানালেন সেলসম্যান মোহাম্মদ জসিমউদ্দীন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আজ (২৯ জানুয়ারি) সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে আমরা কোনো ছাড় দিচ্ছি না।

কোটের স্টলগুলোতে দেখা গেলো, তারাও কম যাচ্ছে না। সারা মাস ধরে যে কোট ২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৫শ থেকে ১৬শ টাকায়।

আবার যে মোদি কোট ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা ছিলো তা এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। আশিক ফ্যাশনের চলছে এ নিয়ে ‘আখেরি অফার’। এতে কাজও হচ্ছে। ক্রেতার ভিড়ে স্টলে দাঁড়ানোয় দায়।

শার্ট-টি শার্টের দোকানেও চলছে ৪০ শতাংশ পর‌্যন্ত ছাড়। হাল ফ্যাশনের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ইজি’ ছেলেদের আকর্ষণীয় রং আর ডিজাইনের শার্ট ২০ থেকে ৪০ শতাংশ ছাড়ে দিচ্ছে।

বিশেষ করে বিদেশি প্যাভিলিয়নগুলো ‘আখেরি অফার’ হাঁকছে বেশি। চায়না প্যাভিলিয়নের বিক্রেতা ইয়ান সুজো বাংলানিউজকে বলেন, মেলার সময় শেষের দিকে। তাই আমাদের সব পণ্যই বিক্রি করতে চাই। ইয়ান সুজো বিভিন্ন প্রসাধনীর পসরা সাজিয়েছেন। টানা হেঁকে যাচ্ছেন-ফিফটি পারসেন্ট লেস, ফিফটি পারসেন্ট লেস।
 
তার স্টলেই কথা হলো মিরপুর থেকে আগত গৃহকর্ত্রী সুমনা আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, চায়না প্রসাধনী খুব ভালো না। তবে ওরা দাম কমিয়েছে। তাই কিনতে এসেছি। যে কয়দিন যায়, তাতেই পোষাবে।

রুপালী ব্যাংক কর্মকর্তা কানন জানালেন, মেলার শেষ দিকে ছাড়ে ভালো জিনিস পাওয়া যাবে তাই এসেছেন।

আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্দা নামবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার।

** নজর কেড়েছে সৌর বিদ্যুৎচালিত মোটরসাইকেল
** শেষ শুক্রবারে ক্রেতা-দর্শনার্থীর ঢল

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৬
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।