ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থমন্ত্রীর জাতীয় অঙ্গীকার

শিশুখাদ্যের ৫০ শতাংশ নিজেরাই সরবরাহ করবো

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
শিশুখাদ্যের ৫০ শতাংশ নিজেরাই সরবরাহ করবো ছবি: জি এম মুজিবুর/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: আগামী তিন বছরের মধ্যে শিশু খাদ্যের ৫০ শতাংশ নিজেদের সরবরাহ এবং একই সময়ে মাংস ও দুধের ঘাটতি মেটাতে কর্মসূচি ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে মৎস্য ও পোষাপ্রাণী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ ঘোষণা দেন।


 
আগামী তিন বছরের পশু সম্পদ উন্নয়ন, মাংস ও দুধের সরবরাহের আমূল পরিবর্তন সম্ভব বলে উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী। তবে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ, খামারি এবং অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা প্রয়োজনের কথা বলেন তিনি।   
 
অপরদিকে এ অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ার মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়কে সরাসরি দায়ী করলেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় মৎস্য ও পশু সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এবং সচিব মো. মকসুদুল হাসান খান উপস্থিত ছিলেন।   
 
শস্য ও মৎস্য ক্ষেত্রে উন্নতির উদাহরণ তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, শস্য ও মৎস্য ক্ষেত্রে আমাদের উন্নয়ন হলেও গত ৪৫ বছরে চতুষ্পদ (চার পা) জন্তুর ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়নি। আগে যে অবস্থায় ছিলাম সে অবস্থাতেই আছি।
 
অর্থমন্ত্রী জানান, আমাদের যে পরিমাণ দুধ প্রয়োজন তার ২০ শতাংশ উৎপাদন করি। অন্যদের চেয়ে (অন্য দেশের লোকজনদের) মাংস ও দুধ অর্ধেক পান করি। সেই অর্ধেকের মধ্যে ৫০ হাজার টন আসছে গুড়া দুধ থেকে। এটা সম্পূর্ণ আমদানি করা। আরো ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টন কিনছি। এই অর্ধেক হিসেবে আমাদের দুধ প্রয়োজন ২৫০ হাজার টন। তা সরবরাহ আমদের পক্ষে সম্ভব। তা হচ্ছে গরু পালন। আমরা যদি অঙ্গীকার করি তাহলে আমাদের পক্ষে তা সম্ভব।

উন্নয়নে আমাদের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে এবং তা সম্ভব উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, গরুর কোয়ালিটি, ভ্যারাইটি তৈরি এবং সংখ্যা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে আমার প্রস্তাব হচ্ছে আমরা একটা উপায় (পলিসি) বের করেছি। তা হচ্ছে সহজ শর্তে গরু কিনতে আমরা ঋণ দিচ্ছি তা আপনারা গ্রহণ করুন।
 
মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার সহযোগিতা পাবেন। খামারিরা তো নিজেদের উন্নয়ন চায়। তাদের সহযোগিতাও পাবেন।
 
আমরা জাতীয় অঙ্গীকার আমরা ঘোষণা করি, আগামী তিন বছরে আমাদের শিশুদের যে খাদ্য সেই খাদ্যের ৫০ শতাংশ আমরা নিজেরা সরবরাহ করবো। আর আমিষে এখন যা গ্রহণ করি তা তিনগুণ বাড়াবো।

মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আব্দুল মাতলুব আহমদ এবং অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আহকাব) ডা. মো. নজরুল ইসলাম।
 
তিন দিনব্যাপী এ মেলা সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে। মেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের ৫৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের উপর সেমিনার হবে। মেলা চলাকালে সেমিনার পর্বে ৪৬টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হবে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৬
এসএমএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।