ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘নিম্নমানের চা আমদানি নয়’

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
‘নিম্নমানের চা আমদানি নয়’ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ/ফাইল ফটো

ঢাকা: ‘দেশে চা উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে। বাংলাদেশে উৎপাদিত চা বিশ্বমানের।

সরকার চায়ের চাহিদা পূরণ করতে আমদানির বদলে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করতে আন্তরিক।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশি চা সংসদের চেয়ারম্যান আর্দাশির কবীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার চাঁদপুরে স্পেশাল ইকোনমিক জোনের কারণে চা বাগানের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নেবে। চা উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সরকার স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করবে এবং নিম্নমানের চা আমদানির বিষয়ে নিরুৎসাহিত করা হবে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের চায়ের গৌরবময় অতীত রয়েছে। এ মুহূর্তে প্রায় এক লাখ শ্রমিক চা বাগানে সরাসরি কাজ করছেন। সব মিলিয়ে চা শিল্পের সঙ্গে দেশের প্রায় দশ লাখ মানুষ জড়িত।

বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলের মাটি উন্নত চা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এখানে উন্নতমানের চা উৎপাদিত ও বিদেশে রফতানি হয়। আমাদের ঐতিহ্যবাহী চা শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে।
 
চা সংসদের পক্ষ থেকে বিদেশ থেকে নিম্নমানের চা আমদানি বন্ধ বা উচ্চ শুল্কহার আরোপ, চা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা প্রদানের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান এবং চুনারুঘাট উপজেলায় চা বাগান নষ্ট করে স্পেশাল ইকোনমিক জোন তৈরি বন্ধের আহবান জানানো হলে মন্ত্রী বিষয়গুলো সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস প্রদান করেন।

তিনি বলেন, চা বাগানের নামে ইজারা প্রদত্ত জমি স্পেশাল ইকোনমিক জোন নির্মাণে যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সে বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।
 
মন্ত্রী বলেন, চা শিল্প রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের সবার। চা শিল্প বিকাশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যা যা করণীয় আছে সবকিছুই করা হবে। চা বাগান নষ্ট করে কিছু করার উদ্দেশ্য সরকারের নেই।

বিষয় গুলো পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। চা শিল্পের যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সে বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে।
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন,  বাংলাদেশি চা সংসদের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এম শাহ আলম, ভাইস চেয়ারম্যান কামরান টি রহমান, কমিটির সদস্য ওয়াহিদুল হক, মো. সাপওয়ান চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান এ কিউ আই চৌধুরী, সিলেট প্ল্যানটার্স লিমিটেডের এমডি এ কে আজাদ, সাবাজপুর টি কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক তপন চৌধুরী, ফিনলে টি’র চেয়ারম্যান আজম জে. চৌধুরী এবং হালদা ভেলি টি কোং লিমিটেডের এমডি নাদের খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
এসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।