ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাবিতে ‘এনবিএল স্নাতক উদ্যোক্তা ঋণ’ শীর্ষক আলোচনা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
রাবিতে ‘এনবিএল স্নাতক উদ্যোক্তা ঋণ’ শীর্ষক আলোচনা

ঢাকা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘এনবিএল স্নাতক উদ্যোক্তা ঋণ’ শীর্ষক মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ড. মোশাররফ হোসেন গ্যালারিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।

ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, অর্থনীতি বিভাগ ও অর্থনীতি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে সভাটি হয়।

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় দুই পর্বের এ সভায় উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের (এনবিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) এ এফ এম শরিফুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসংস্থান প্রকল্প (বিকল্প) ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রধান নির্বাহী মাহ্তাব উদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক ড. এম আলাউদ্দিনসহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।

এএফএম শরিফুল ইসলাম বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক সম্মান পাশ করা শিক্ষার্থীদের আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী করে তুলতে ‘স্নাতক উদ্যোক্তা ঋণ’ প্রকল্প চালু করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। কেবল রাবির অর্থনীতি বিভাগের স্নাতক পাশ শিক্ষার্থীদেরই জন্য পাঁচ কোটি টাকার তিন বছরের একটি পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে নেওয়া হয়েছে। যেখানে চাকরি না হওয়া শিক্ষার্থীদের হতাশা দূর করে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে স্বউদ্যোগীদের সম্পূর্ণ জামানতবিহীন ঋণ প্রদান করবে এনবিএল। যার সুদের হার হবে ৯ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশ। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রকল্পটি চালু করা হবে।

মাহ্তাব উদ্দিন বলেন, ছাত্ররা লেখাপড়া শিখে শুধু চাকরির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে আত্মকর্মসংস্থান করবে। ব্যাংকগুলোকে সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে। এ প্রকল্পের আওতায় এনবিএল থেকে ঋণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা উপার্জনমুখী ও লাভজনক সকল আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজ করতে পারে। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেষে চাকরির জন্য হতাশা প্রকাশ করতে হবে না। তারা সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ নিয়ে নিজেদের কর্মসংস্থান নিজেরাই তৈরি করতে পারে।

বক্তারা বলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পুঁজি চাহিদার উপর ভিত্তি করে ঋণের পরিমাণ নির্ধারিত হবে এবং ঋণ পরিশোধ পদ্ধতি প্রকল্প অনুযায়ী হবে। রাবির অর্থনীতি বিভাগ থেকে পাশ করার পাঁচ বছরের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ঋণ আবেদন করতে পারবেন। সেইসঙ্গে রাবির অর্থনীতি বিভাগ ও বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সুপারিশ ও সন্তুষ্টিপত্র থাকতে হবে। এছাড়া, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ও অন্যান্য উদ্ভাবনী সেক্টরের ক্ষেত্রে ঋণ প্রদানের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।