ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিজার্ভ চুরির বিষয় জানা নেই অর্থমন্ত্রীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৬
রিজার্ভ চুরির বিষয় জানা নেই অর্থমন্ত্রীর ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকারদের ৮০০ কোটি টাকা ( ১০ কোটি মার্কিন ডলার) চুরির বিষয়ে কিছুই জানেন না অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এ সম্পর্কে এখনো তাকে কিছু জানানো হয়নি বলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।


 
তবে বিষয়টিকে তিনি কেবল ‘আনইউজিয়াল’ বলেই অভিহিত করেছেন।
 
সোমবার (মার্চ ৭) বিকেলে মন্ত্রিপাড়ার হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবন ‘তন্ময়’ এ বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমি এ বিষয়ে এখনো কিছু জানি না। আমাকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। তাই এ বিষয়ে এখনই কোন মন্তব্য করতে চাইনা। তবে বিষয়টা একেবারেই নতুন এবং আনইউজিয়াল।
 
উল্লেখ্য, ফিলিপাইনের দৈনিক দ্য ইনকোয়েরার পত্রিকায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ থেকে ১০ কোটি ডলার মানি লন্ডারিং হয়েছে বলে একটা খবর প্রকাশ করে।
 
ওই খবরে বলা হয়, দেশটির মাকাতি শহরে অবস্থিত রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের একটি শাখার মাধ্যমে ওই অর্থ ফিলিপাইনে আসে। চীনা হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংক অথবা সেখানকার কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ অর্থ হাতিয়ে নেয়। হ্যাকার দল এ অর্থ প্রথমে ফিলিপাইনে পাচার করে।
 
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, অর্থ পাচারের এ ঘটনা তদন্ত করছে ফিলিপাইনের অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিল। বিভিন্ন তথ্যসূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই অর্থ সেখান থেকে ক্যাসিনোসহ একাধিক হাত ঘুরে অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
 
এদিকে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারের তথ্য জানার পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একটি বৈঠক করেন।
 
ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং বিভাগের ডিজিএম জাকের হোসেন ও বিএফআইইউর যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রবকে পাঠানো হয় ফিলিপাইনে।
 
সেখানে গিয়ে এ দুই কর্মকর্তা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক 'ব্যাংকো সেন্ট্রাল এনজি ফিলিপিনাস' (বিএসপি) ও অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কাউন্সিলের (এএমএলসি) সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেন। বিশেষ এ দুটি বৈঠকে হ্যাকার গ্রুপকে চিহ্নিত করে টাকা ফেরতের ব্যবস্থার বিষয়ে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৬
আরএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।