ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্কোয়াশ চাষে কম খরচে অধিক আয়

খন্দকার সুজন হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৬
স্কোয়াশ চাষে কম খরচে অধিক আয় স্কোয়াশ / ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মানিকগঞ্জ: মৌসুমী ফসলসহ অন্যান্য ফসলের তুলনায় এতে খরচ একেবারেই কম, তবে মুনাফার সুযোগ অনেক বেশি। তাই দিন দিন স্কোয়াশ চাষের দিকে ঝুঁকছেন মানিকগঞ্জের কৃষকরা।



তবে স্কোয়াশ নতুন সবজি হওয়ায় এখনও সেভাবে পরিচিত হয়ে ওঠেনি জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের মধ্যে।

ফলে অনেকটা স্বল্প পরিসরেই বর্তমানে মানিকগঞ্জে আবাদ হচ্ছে স্কোয়াশের। এতে করে ক্রেতাদের মধ্যে নতুন এ সবজি নিয়ে আগ্রহ থাকায় লাভবান হচ্ছেন মানিকগঞ্জের স্কোয়াশ চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্র জানিয়েছে চলতি মৌসুমে জেলার তিনটি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাত্র ৬০ বিঘা জমিতে স্কোয়াশ চাষ হচ্ছে।

সম্প্রতি সরেজমিনে ঘিওর ও শিবালয় উপজেলার কয়েকটি স্কোয়াশ খেত পরিদর্শন করে ও চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ফসল চাষে তারা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন। এর মাধ্যমে কৃষকের ব্যাপক মুনাফা অর্জনের সুযোগ রয়েছে। সেইসঙ্গে রয়েছে একই খেতে অন্যান্য সবজি আবাদের সুযোগও।

কথা হয় ঘিওর উপজেলার স্কোয়াশ চাষি জয়নাল আবেদিন ঝন্টুর সঙ্গে। তিনি এবার ৭ বিঘা জমিতে স্কোয়াশের আবাদ করছেন। আবার একই জমিতে একইসঙ্গে করছেন মিষ্টি কুমড়ার আবাদ।

ঝন্টু জানান, স্কোয়াশ আবাদের জন্য জমিতে বীজ বপন থেকে শুরু করে ফলন উত্তোলন পর্যন্ত বিঘাপ্রতি জতিতে তার খরচ হয় ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে তিনি ৫০০টি করে স্কোয়াশের বীজ বপন করেছিলেন। প্রতিটি গাছ থেকে তিনি ১৬ কেজি করে ফলন পেয়েছেন। যার প্রতি কেজির পাইকারি বাজার দর ১০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি বিঘা জমির ফলন থেকেই তিনি  ৮০ হাজার টাকার মতো আয় করতে পারছেন।

ঘিওরের আরেক চাষি মনিরুদ্দিনের ছেলে ইউনুস বলেন, স্কোয়াশ একটি নতুন সবজি হওয়ায় এটা চাষ ঝুঁকি মনে করে এলাকার অনেকেই স্কোয়াশের আবাদ করেননি।
অনেকে আবার এ সবজির নামই জানেন না।

তিনি জানান, স্কোয়াশ চাষে অল্প খরচ ও অল্প পরিশ্রমেই অধিক আয় করা সম্ভব। এ ফসলে পচন রোগ ছাড়া আর কোনো রোগের উপদ্রব নেই বলেও জানান তিনি।

পাশের শিবালয় উপজেলার বকচর গ্রামের সবজি চাষি  নুরু মিয়া জানান, স্কোয়াশ মূলত একটি শীতকালীন সবজি। অক্টোবর মাসের শুরুতে স্কোয়াশের বীজ বপন করলে দুই মাস পর থেকেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। ফলন পাওয়া যায় মার্চ মাস পর্যন্ত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ  অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আলীমুজ্জামান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এবার মাত্র ৬০ বিঘা জমিতে এ সবজির আবাদ হয়েছে। তবে অল্প খরচে অধিক আয়ের সুযোগ থাকায় স্কোয়াশ চাষে দিন-দিন আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার সবজি চাষিরা।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।