ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চট্টগ্রাম থেকে উর্মি মাহবুব

সুতোয় স্বপ্ন বুনছে স্বপ্ন বালিকারা

উর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
সুতোয় স্বপ্ন বুনছে স্বপ্ন বালিকারা

চট্টগ্রাম থেকে : সোমা আক্তার ও সুমি আক্তার। দুই বোন।

পেশায় পোশাক শিল্প শ্রমিক। কাজ করে চট্টগ্রামের কর্ণফুলি ইপিজেডের ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডে।

ভোর ছয়টায় ঘুম থেকে উঠে রান্নার কাজ শুরু। রান্নার কাজ শেষ করেই সাতটার মধ্যেই কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হতে হয় দুই বোনকে। পৌনে আটটার মধ্যে অফিসে পৌছে কাজ শুরু। কারখানায় প্যান্টে ট্যাগ লাগাতে হয় দুই বোনকে। সন্ধ্যায় কাজ শেষ করে বাসায় ফেরে সুমি আর সোমা। মাকে নিয়ে রাতে এক সাথে খাওয়া। এভাবেই দিন কাটে বস্ত্র বালিকাদের।

পড়ালেখা শিখে বড় চাকরি করার স্বপ্ন ছিলো দুই বোনের। কিন্তু ছোট বেলায় বাবা মারা যাওয়ায় অর্থাভাবে স্কুলের গন্ডি পেরুনো হয়নি দুই বোনের।

সুমি ষষ্ঠ শ্রেণিতে কয়েকদিন ক্লাস করেছিলো বটে, কিন্তু পরীক্ষা দেয়া হয়নি।   বড় বোন সোমাকেও অষ্টম শ্রেণির পর পড়ালেখা বন্ধ করতে হয়েছে।

মা ও ছোট বোনের দায়িত্ব নিতে সোমা কাজ শুরু করে ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডে।

সোমার দক্ষতায় খুশি ঊধ্বর্তনরা। মা আর বোনদের নিয়ে চট্টগ্রামে ছোট্ট বাসা নিয়ে বসবাস শুরু করে দুই বোন।

ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডে ৫ বছর ধরে কাজ করছে সোমা। কিছুদিন পর সুমিও একই কারখানায় কাজ শুরু করে।

এখন সামনের পথের স্বপ্ন দেখে সোমা। একটা ছোট্ট সংসারের স্বপ্ন সোমার।

বাংলানিউজকে সোমা বলেন,  স্বপ্ন আর কি আপা। এই কাজই করব। একটা ছোট সংসার থাকব। অভাব অনটন থাকব না। মায়ের দেখাশোনা করতে পারলেই চলব।

তবে সুমি নিজে কিছু করতে চান। বলেন, নিজের একটা কিছু হইলে থারাপ হইত না। তবে কি করমু জানি না। এখন তো দিন কাইটা যায়। ভবিষ্যতের স্বপ্নটা হলেই বেঁচে যাই।

সুমি আর সোমার মতোই ৩০ লক্ষ বস্ত্রবালিকার স্বপ্ন বাস্তবায়নের কেন্দ্র বিন্দু এই পোশাক শিল্প।

ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডে প্রায় ৯শ’ নারী শ্রমিক কাজ করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৬
ইউএম/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।