ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দারিদ্র্যের ফাঁদ থেকে প্রান্তিকদের উদ্ধারে আইন প্রণনয়ের পরামর্শ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
দারিদ্র্যের ফাঁদ থেকে প্রান্তিকদের উদ্ধারে আইন প্রণনয়ের পরামর্শ ছবি:শাকিল/বাংলােনিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: চা শ্রমিকের সন্তান চা শ্রমিকই হবে, দারিদ্র্যের এমন ফাঁদ থেকে প্রান্তিক ও বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে উদ্ধারে আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।

সোমবার (২২ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবন মিলনায়তনে ‘কাউকে পিছনে ফেলে নয়, বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নতা প্রান্তিকতার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ পরামর্শ দেন সরকারকে।

 

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধে পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান প্রান্তিকতা ও বিচ্ছিন্নতার বোঝা দূর করতে দারিদ্র্য ফাঁদ থেকে উত্তরণের দাবি তুলে ধরেন।

মূল প্রবন্ধের আলোকে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উত্তরণ প্রসঙ্গে ড. গওহর রিজভী বলেন, দেশে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আটটি টার্গেট নিয়েছেন। এর মধ্যে একটি বাড়ি একটি খামার। সারাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে প্রান্তিক জনগেষ্ঠীর জন্য।

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিষয়গুলো ফোকাস করতে হবে। ফলোআপ হওয়া প্রয়োজন। সমস্যা চিহ্নিত করে আইনের মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন করতে হবে।

হোসেন জিল্লুর রহমানকে উদ্দেশ্যে করে গওহর রিজভী বলেন, মেমোরেন্ডাম তৈরি করে সরকারের কাছে তুলে ধরতে হবে। চা বাগানের শ্রমিকরা যে কাজ করে তাদের সন্তানদেরও তাই করতে হয়। আমি আজ তা জানলাম।

মূল প্রবন্ধে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভোজন কৈরি কর্মশালায় জানান, চা শ্রমিকরা যদি চা শ্রমিক হিসেবে কাজ না করেন তাহলে তাদের নিজের আবাসস্থল থেকে উঠিয়ে দেওয়া হয়। শত বছর ধরে যারা একই জায়গায় বসবাস করছেন সন্তানদের চা শ্রমিক না করলেই উঠে যেতে হয়।

মধ্যবিত্তরাও পেশাগত উন্নয়ন চায়, উন্নয়ন চায় পাহাড়িরা। তবে তাদের মতো করে তারা উন্নয়ন চাইবে। আমরা সেসব সমস্যার সমাধান করবো তাদের নিজেদের মতো করে। তবে কমিউনিটির লোকরা তাদের সমস্যা চিহ্নিত করবে। আমরা সমাধানের কথা বলবো।

স্বাগত বক্তব্যে ফিলিপ গায়েন চা শ্রমিক, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, সুইপার বা হরিজন, কায়পুত্র, বেদে, জলদাস, যৌনকর্মী, বিহারিসহ অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। এসব জনগোষ্ঠীর সমস্যা তুলে ধরে তাদের সামগ্রিক চিত্র ও মানচিত্র  তৈরি করার কথা বলেন তিনি। ইতোমধ্যে গবেষণা পুস্তক তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান ফিলিপ গায়েন।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সোসাইটি ফর এনভায়র্নমেন্ট অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের (সেড) পরিচালক ফিলিপ গায়েন।

সেড সভাপতি অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদ, রিব’র সহ-সভাপতি ড. হামিদা হোসেন এবং পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম।
 
এছাড়া আলোচনায় অংশ নেন লেখক ড. হরিশংকর জলদাস, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভোজন কৈরি, বিবিএস’র সহকারী পরিচালক ড. দীপঙ্কর রায়।

প্রান্তিকজনের প্রতিনিধি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন, যৌনকর্মীদের প্রতিনিধি হাজেরা বেগম ও জেল প্রিতিনিধি সৌদ খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬/আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা
এসএমএ/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।