ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চালের দাম বেড়েছে কৃত্রিম সংকটে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৬
চালের দাম বেড়েছে কৃত্রিম সংকটে

ঢাকা: চালের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও কৃত্রিম সংকটের কারণেই হঠাৎ করে চালের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই চালের দাম স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।

এই সংকট মোকাবেলা ও দাম স্থিতিশীল রাখতে ১৫ টাকা কেজি দরে সাময়িকভাবে খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) শুরুর ঘোষণা দেন খাদ্যমন্ত্রী। রাজধানী ছাড়াও চট্টগ্রাম ও খুলনায় ওএমএস কর্মসূচি চালাবে সরকার।

রোববার (০৯ অক্টোবর) সবিচালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য দেন খাদ্যমন্ত্রী।

রাজধানীর বাজারে মোটা চাল কেজিপ্রতি ছয় টাকা থেকে আট টাকা বেড়ে যায়। গত কয়েক দিনে আবার খানিকটা কমেও আসে।

সরকারের কাছে ২৪ লাখ মেট্রিক টন চাল উদ্বৃত্ত থাকার পরেও রাজধানীতে মোটা চালের দাম বাড়ার পর রোববার চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন খাদ্যমন্ত্রী।

বৈঠকের পর চালের দাম বাড়ার কারণ নিয়ে কথা বলেন সংবাদকর্মীদের সঙ্গে।

সরকারের খাদ্যভাণ্ডারে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ থাকলেও হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ২৪ লাখ মেট্রিক টন চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে। চালের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। কৃত্রিম সংকটে রাজধানীতে মোটা চালের দাম বেড়েছে। তবে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে চালের দাম স্বাভাবিক হবে।  

কারা কৃত্রিম সংকট করেছে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সরকার কৃষকদের কল্যাণে সরাসরি তাদের কাছ থেকে ধান কিনেছে। এক্ষেত্রে যাদের আঁতে ঘা লেগেছে তারাই কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে পারে।

খাদ্যমন্ত্রী চালকল মালিকদের বলেন, আপনাদের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি ছিল ছয় লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টনের। এখন পর্যন্ত আপনারা চার লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করেছেন। আরও এক লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করেননি। আপনাদের সময় দেওয়া হয়েছিল ০১ অক্টোবরের মধ্যে চাল সরবরাহ করতে হবে। অনেক আলোচনা হলো, এখন আপনারা আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করবেন। অন্যথায় পাঁচ বছরের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।

খাদ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, ২০১৬ সালে সরকারের সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্র ছিলো দুই লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। চাল সংগ্রহ মূল্য ছিলো ৩২ টাকা। চাল সংগ্রহের সময়সীমা ছিলো ১৫ সেপ্টেম্বর। অতিরিক্ত সিদ্ধ চাল সংগ্রহের জন্য চালকল মালিকদের কাছ থেকে ২৪ আগস্টের মধ্যে সরবরাহ করার চুক্তি ছিলো। এসময় ০১ অক্টোবর বাড়িয়ে দেওয়া হয়। দুপুরে এই সময় আবার বাড়িয়ে করা হলো ৩১ অক্টোবর।

বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৬
এসএমএ/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।