ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বায়রা লাইফের অনিয়ম তদন্তে অডিটর নিয়োগ

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
বায়রা লাইফের অনিয়ম তদন্তে অডিটর নিয়োগ

ঢাকা: বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অনিয়ম খতিয়ে দেখতে অডিটর (বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান) নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।

প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ র্বোড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আইডিআরএ সূত্র।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, শিগিরই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং চেয়ারম্যানের কাছে অডিটর নিয়োগের নির্দেশনা পাঠাবে আইডিআরএ কর্তৃপক্ষ।

অডিটর বায়রা লাইফের ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালের ব্যবসায়িক চিত্র নিরীক্ষা করবেন। এর মধ্যে কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়, বিনিয়োগ, প্রিমিয়াম আয়, তামাদি পলিসি, লাইফ ফান্ড ও সম্পদের প্রকৃত তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।

আইডিআরএ’র কাছে অভিযোগ রয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মোট ৭ বছরে প্রথম বর্ষ প্রিমিয়াম আয়ের তুলনায় ব্যবস্থাপনা ব্যয় নির্ধারিত টাকার চেয়ে ৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি দেখিয়েছে কোম্পানিটি।

বিমা বিধিমালার (১৯৫৮) ৩৯ বিধি মতে প্রথম বর্ষ ব্যবসার জন্য ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৯০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ কোম্পানিটি ২০১৫ সালে ৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা, ২০১৩ সালে ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, ২০১২ সালে ৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, ২০১১ সালে ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ২০১০ সালে ৯৮ লাখ এবং ২০০৯ সালে ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা বেশি খরচ দেখিয়েছে কোম্পানির পরিচালক ও উদ্যোক্তারা। বিনা প্রশ্নে লুটপাটের লক্ষ্যে চার বছর ধরে কোম্পানিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এর আগে বিশেষ নিরীক্ষায় পদ্মা ইসলামী, প্রগতি, মেঘনা, সানফ্লাওয়ার ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের শত শত কোটি টাকা লোপাটের চিত্র উঠে আসে।

আইডিআরএ’র সদস্য ও মুখপাত্র জুবের আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে নিয়ম বহির্ভুত খরচ পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোম্পানির চেয়ারম্যান আবুল বাশার বাংলানিউজকে বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণ সংস্থা যখন খুশি তখনই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমাদের কাছে নির্দেশনা এলে তা পালন করবো’।

এর আগেও বায়রার বিরুদ্ধে ২০১১ সালে ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা, ২০১২ সালে ৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, ২০১৩ সালে ৬ কোটি টাকা এবং সর্বশেষ ২০১৪ সালে ৪ কোটি ১০ লাখ টাকার অবৈধ খরচের অভিযোগ পায় আইডিআরএ’র। এরপর অডিটের জন্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস কোম্পানি এমজে আবেদিন অ্যান্ড কোম্পানিকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

** ফেঁসে গেলো বায়রার পরিচালকরা

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
এমএফআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।