ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পদ্মার ভাঙন ঝুঁকিতে জশলদিয়া পানি শোধনাগার  

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭
পদ্মার ভাঙন ঝুঁকিতে জশলদিয়া পানি শোধনাগার  

ঢাকা: ঢাকা মহানগরীর বিপুল জনগোষ্ঠীর পানির চাহিদা মেটাতে পদ্মার পানি প্ল্যান্ট পরিশোধনের মাধ্যমে সরবরাহের কাজ চলমান। সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পদ্মার (জশলদিয়া) পানি শোধনাগার নির্মাণ (ফেইজ-১)’ প্রকল্পটি মাঝ পর্যায়ে রয়েছে। 

সরকারি অর্থায়ন ও চীনের ঋণ সহায়তায় নির্মিত বিশাল ব্যয়ের প্রকল্পটি এখন পদ্মা নদীর ভাঙন ঝুঁকিতে। তবে প্রকল্প ব্যয়ের সকল অর্থ ছাড় হয়ে গেছে।


৩ হাজার ৫০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিদিন ৪৫০ মিলিয়ন লিটার (এমএলডি) খাবার পানি সরবরাহের লক্ষ্যে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার জশলদিয়া এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ওয়াসা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৭৩ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংক অব চায়নার বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা এবং ওয়াসার ব্যয় হবে ২২ কোটি টাকা।

পদ্মা নদী থেকে এক কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে থাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়নে নতুন ঝুঁকিতে পড়েছে বলে পরিদর্শন প্রতিবেদনে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)।  

আইএমইডি সূত্র জানায়, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন শেষে গত ২০ জানুয়ারি এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।  
 
আইএমইডি’র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পের অদূরে পদ্মাসেতুর কাজ চলায় ভাঙনের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটি রক্ষার্থে ইনটেক পয়েন্টে অবকাঠামোগত, ফিজিক্যাল ওয়ার্ক ও নদীশাসনের কাজ তাই দ্রুত শুরুর উদ্যোগ নিতে বলেছে সংস্থাটি।
 
তবে ঢাকা ওয়াসা’র প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের দাবি, চীনা কোম্পানির চলমান কাজ ও প্রযুক্তি উন্নতমানের। তাছাড়া মেয়াদের শেষ সময় হলেও প্রাথমিক স্তরে চলছে প্রকল্পের কাজ। গুণগত মান নিয়ে মন্তব্য করার মতো দৃশ্যমান পর্যায়ে আসেনি। চলতি সময় পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৩৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ ও ভৌত অগ্রগতি ২৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ বলেও জানায় সূত্রটি।  

২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। এর আগে ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয়ে ২০১৬ সালের জুন মেয়াদে শেষ হওয়ার কথা ছিলো প্রকল্পটি।

আর আইএমইডি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রকল্পের ইনটেক পয়েন্ট, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বোস্টার পাম্প স্টেশন, ট্রান্সমিশন পাইপ লাইন এবং ইলেকট্রিক সাব-স্টেশন গুরুত্বপূর্ণ ভৌত কাজ। এ অঙ্গগুলো একটি অপরটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।  

সকল অঙ্গের কাজ সমন্বিত উপায়ে একসঙ্গে না করা হলে কাজ শেষ হতে আরও সময় লাগবে। কেনা যন্ত্রপাতিও ব্যবহারের অভাবে বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রকল্পটি ভাঙ্গন ঝুঁকিতে পড়লে প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ঢাকায় সরবরাহ করা ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। পদ্মানদীর ভাঙ্গন ঝুঁকিসহ নানা অব্যস্থাপনায় পড়েছে প্রকল্পটি।
 
প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আইএমইডি’র প্রতিনিধি দল প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তবে সে রিপোর্ট আমাদের হাতে এখনও পৌঁছেনি’।
 
প্রকল্পের ঝুঁকি মোকাবেলা প্রসঙ্গে পিডি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। আমি ঢাকা ওয়াসার ফোকাল পয়েন্টে নেই। আপনি কোনো প্রশ্নের উত্তর চাইলে আমাদের কাছে লিখিত আকারে জানাতে হবে’।  

বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, জ‍ানুয়ারি ২৪, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।