ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জমজমাট ১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
জমজমাট ১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৭ জমজমাট ১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৭/ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: জমে উঠেছে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের ভোক্তা, উদ্যোক্তা, আমদানিকারক ও সরবরাহকারীদের পদচারণায় সৃষ্ট দেশের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা ‘১৮তম টেক্সটেক বাংলাদেশ ২০১৭’। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ৩য় দিনের আয়োজনে শুক্রবার (১১ আগস্ট) প্রদর্শনী ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।

সেমস গ্লোবাল বাংলাদেশ আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীটি চলছে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।  

শনিবার (১২ আগস্ট) প্রদর্শনীটির শেষ দিন।

আর শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন থাকায় ব্যাপক পরিমাণ দর্শকের উপস্থিতিতে মুখরিত পুরো আইসিসিবি প্রাঙ্গণ।
 
প্রদর্শনীতে তৈরি পোশাক শিল্প খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত লোকজন ছাড়াও উপস্থিত হচ্ছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন।
 
প্রদর্শনীতে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ৪র্থ বর্ষের ছাত্র আব্দুর রহিম জুয়েল এসেছেন গাজীপুর থেকে। বাংলানিউজকে তিনি জানান, অনেক নতুন কিছু দেখছি এই প্রদর্শনীতে এসে। ফ্যাক্টরিতে যারা কাজ করে তারা হয়তো নতুন নতুন মেশিনগুলো ও ফেব্রিকের সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু আমরা তো তা দেখতে পাই না বা পরিচিত না। হয়তো বইতে পড়ি কিন্তু বাস্তবে পরিচিত হতে পারলাম এই প্রদর্শনীতে এসে। বিশেষ করে মাইক্রো ফাইবারের ফেব্রিকগুলো বইতে পড়লেও আজ প্রথম দেখলাম। তাছাড়া কাঠের কিছু বোতাম ও নতুন কিছু জিপার দেখছি যা আমাদের জ্ঞানকে  আরও প্রসারিত করেছে।
 
ডুয়েটের আরেক শিক্ষার্থী রাজীব বলেন, এ প্রদর্শনীর বিষয়বস্তু আমাদের পড়াশোনার বিষয়ে ব্যাপক সহযোগিতা করছে। আমরা হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এতো আধুনিক বিষয়গুলো জানতে পারি না। কিন্তু আমাদের এগুলো জানা উচিৎ। কেননা ভবিষ্যতে আমাদের ডিজাইনসহ বিভিন্ন কাজে নামতে হবে তখন এ বিষয়গুলো জানা থাকলে আমরা ভালো ফলাফল দেখাতে পারবো। আর যুগপোযোগী সব কিছুর সঙ্গে আমাদের থাকা উচিৎ নইলে বাজার বুঝতে পারবো না। আর উন্নতমানের অনেক কাপড়, রঙ আর বোতামগুলোই আমার নজর বেশি কেড়েছে।  
 
এছাড়া মুনলাক্স নিট গার্মেন্টস লি. ও সাফা নিটওয়্যার লি. এর মালিক সামশুল ইসলাম বলেন, প্রতিবার এ প্রদর্শনী নতুন কিছু না কিছু দিবেই। যে কারণে ছুটে আসি। এবারও পেয়েছি তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এই প্রদর্শনী চলাকালীন সময়ে তারা যে রকম ভালোভাবে অর্ডারগুলো নিচ্ছে সেভাবে তারা পরবর্তীতে সাড়া দেয় না যদি অর্ডারকৃত মালামালের পরিমাণ কম হয়। তবে এখানে মালামালের পরিমাণ সম্পর্কে নির্দিষ্ট কিছু বলে না। এখানে তারা যথেষ্ট আন্তরিক। এটা আমার অভিজ্ঞতা থেকে বললাম। দেখা যাক এবার কি হয়।  
 
আর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবারের মেলার পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনাসহ সবকিছু এক কথায় ‘চমৎকার’। আমাদের খুবই সুবিধা হচ্ছে এ রকম আয়োজনের জন্য। একটা আন্তর্জাতিক মেলা প্রদর্শনীর সব ধরনের সুবিধাই আমরা এখানে পাচ্ছি।
 
প্রদর্শনীর আয়োজক প্রতিষ্ঠান সেমস গ্লোবাল বাংলাদেশের হেড অব মার্কেটিং আবু নাঈম মো. শরীফ অপূর্ব বাংলানিউজকে জানান, প্রদর্শনীর আজ ৩য় দিন। আগামীকাল শেষ হবে। আজকে জুম্মার নামাজের আগ পর্যন্ত আমাদের গণনা মতে ১০ হাজার দর্শনার্থী এসেছে। আমরা আশা করছি আজকের মধ্যেই প্রায় ১৫ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে আমরা পুরো ভেন্যু ঘুরে দেখার জন্য ছোট ছোট গাড়ির ব্যবস্থা রেখেছি। বৃষ্টি হলে প্রতিটা হল থেকে অন্য হলে যাওয়ার জন্য ছাতার ব্যবস্থাও আছে। আমাদের ভলেন্টিয়ারদের মাধ্যমে তা পরিচালিত হচ্ছে। আর নিরাপত্তার বিষয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মীর পরও অনেক পুলিশ এখানে মোতায়েন করা আছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এমএএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।