ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এক পণ্যের দাম কমলে অন্য পণ্যের দাম বাড়ে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এক পণ্যের দাম কমলে অন্য পণ্যের দাম বাড়ে মাছের বাজারে এক ক্রেতা মাছ দেখছেন। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশালের মাছ-মাংসের বাজার চলছে লাগামহীন। আমদানির উপর নির্ভর করে কখনো দাম বাড়ছে-কখনো কমছে।

বাজারে ইলিশের কারণে মাছের আমদানি বাড়লেও দামে তেমন কোনো তারতম্য নেই বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। আর মাংসের বাজারে গরু-খাসির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কমছে ব্রয়লার মুরগির দাম, বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম।

নগরের বাংলাবাজার এলাকার পাইকার ডিম ব্যবসায়ী এমাদুল জানান, ৩ দিন পূর্বে ফার্মের মুরগির একশত ডিমের দাম ছিল ৭২০ টাকা, কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী আমদানি কম থাকায় তা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৪০ টাকায়।

এদিকে ওই বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী কালাম জানান, প্রতি হালি ডিম ৩০-৩২ টাকা আবার একশত ডিমের দাম আটশত টাকা বিক্রি করেছেন তিনি।

নবগ্রাম রোডের ব্যবসায়ী রিপন খান জানান, শহরে একশত ডিমের পাইকারী দাম ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশি হাঁস ও মুরগির একশত ডিম বিক্রি হচ্ছে আটশত টাকায়। মাছের আড়তে এক নারী ক্রতা।  ছবি: বাংলানিউজচৌমাথা বাজারের ব্যবসায়ী মো. মিলন জানান, ১৪০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি এখন ১৩০ টাকায় বিক্রি করছেন তিনি। ব্রয়লারের দাম কমলেও সোনালী ও লেয়ার মুরগির দাম ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নজরুল ইসলাম, মোহন মিয়া নামে বাংলাবাজারের নিয়মিত দু’জন ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে তো এখন এক পণ্যের দাম কমলে অন্য পণ্যের দাম বাড়ে। ভোক্তার কোনো শান্তি নেই।

বিগত সময়ের মতো মাংসের বাজারে গরু পাঁচশত টাকা ও খাসি সাতশত টাকা দামে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।

অপরদিকে বরিশাল নগরের পোর্টরোডস্থ  বেসরকারি মৎস অবতরণ কেন্দ্রে তেলাপিয়া মাছ কেজিপ্রতি ১১০ টাকা, পাঙ্গাস ৯০-১০০ টাকা, কাতল ৩৫০-৪৪০ টাকা, কোড়াল পাঁচশত টাকা, গলদা চিংড়ি সাড়ে ৫ থেকে ৬ শত টাকা, রুপচাদা ৭ শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ররিশালের এক পাইকারীর দোকান।  ছবি: বাংলানিউজশহরের অন্য খুচরা বাজারে তেলাপিয়া ১৪০-১৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০-১৩০ টাকা, গলদা চিংড়ি সাড়ে ৬ থেকে ৮ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পোর্টরোডের মৎস ব্যবসায়ী জাকির সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, আগের চেয়ে মাছের আমদানি কিছুটা বেড়েছে, তাই মাছের দাম ঠিকই রয়েছে। তবে এখনো দাম কমেনি।

তিনি আরও বলেন, ইলিশের বাজারে সাধারণ মানুষের চাহিদা মাঝারি আকারের ইলিশ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ হাজার টাকা। যা একসপ্তাহ আগে ছিল ৩৫ হাজার টাকা। তবে বরিশালের বাজারের চেয়ে পটুয়াখালীতে ইলিশ মাছের আমদানি অনেক বেশি।

চৌমাথা বাজারের ব্যবসায়ী পারভেজ জানান, খুচরা বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা ও দেশি ৫৫ টাকায়, তবে ২০ দিন আগে পেঁয়াজের কেজি ছিল ২০ টাকা। রসুন দেশি ১২০ ও বিদেশি ১৭০ টাকা, লবণ ৪২ টাকা, খোলা চিনি ৬০ টাকা, প্যাকেটজাত ৭০ টাকা, ভারতীয় মসুর ডাল ৮০ টাকা, দেশি মসুর ১২০ টাকা, প্যাকেটজাত ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, সয়াবিন ১০৫ টাকা, আদা ১ শত টাকা, আলু ২০ টাকা।

এছাড়া মিনিকেট চাল প্রতিকেজি ৫৫ টাকা, মোটা বিআর ২৮ চাল ৫০ টাকা, পোলাও'র চাল ১ শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ ও আলু ছাড়া অন্য কোনো পণ্যের তেমন একটা দাম বাড়েনি খুচরা বাজারে বলে জানান এ ব্যবসায়ী।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।