ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কোরবানি পশুর চামড়ার দাম নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭
কোরবানি পশুর চামড়ার দাম নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা চামড়া সংরক্ষণ করা হচ্ছে-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়া কেনার পর এখন ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন ব্যবসায়ীরা। একইসঙ্গে বিভিন্ন দেশে চামড়া পাচার নিয়েও শঙ্কায় আছেন তারা।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পোস্তা ও হাজারীবাগের চামড়া ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজের কাছে এমন শঙ্কার কথা জানান।
 
চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার চামড়ার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন সে দামেই চামড়া কেনা হয়েছে।

কিন্তু লবণের সংকট, গুদামের বেশি ভাড়া ও জনবলের সংকটের কারণে এবার চামড়ায় প্রতি স্কয়ার ফুটে ২০ টাকা বেশি বিক্রি করতে হবে। সেটা বিক্রি করা না গেলে তাদের লোকসানে পড়তে হবে।  

প্রতি বছরই ঈদুল আজহার আগে লবণের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়। এই সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে বিভিন্নভাবে আবেদন করেও কোনো উপকার পাননি ব্যবসায়ীরা। এমনকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে যৌথ মনিটরিং সেল করে দেওয়ার অনুরোধ করলে সেটাও হয়নি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।  
 
বছরে চাহিদার অন্তত ৬০ ভাগ চামড়া সংগ্রহ করা হয় কোরবানির ঈদে। তাই দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রফতানির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সব ট্যানারি অপেক্ষায় থাকে কোরবানি ঈদের। গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়াসহ গত বছর প্রায় ৮৫ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করা হয়। এবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে নব্বই লাখ থেকে প্রায় এক কোটি পিস চামড়ার। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয় বলে ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে।
 
এ বিষয়ে বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দোলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা এবারও পূরণ হয়নি। পোস্তার ব্যবসায়ীরা ৭ লাখের মতো চামড়া সংগ্রহ করতে চেয়েছিলো। কিন্তু ৩ লাখের মতো চামড়া সংগ্রহ করতে পেরেছেন। ট্যানারি মালিকরা ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করেনি।  
 
 
বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও টিএস ট্রেডিং লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী টিপু সুলতান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এবার চামড়ার ভালো দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি। এখনও আমরা ট্যানারি মালিকদের কাছে চামড়া বিক্রি করতে পারিনি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহে চামড়া বিক্রি শুরু হবে। একইসঙ্গে চামড়া পাচার নিয়েও শঙ্কায় আছি। বিষয়টি নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। চামড়ার পাচার রোধে বিজিবি সীমান্ত এলাকার ৫ কিলোমিটার এলাকায় টহল জোরদার করেছে।  
 
তিনি আরও বলেন, চামড়া শিল্প দেশের বড় একটি সম্পদ। এটা আমাদের একার পক্ষে রক্ষা করা সম্ভব নয়। এজন্য সরকারকে আরও বেশি এগিয়ে আসতে হবে। নতুবা এই শিল্প একদিন হারিয়ে যাবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭
এসজে/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।