ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মিনিকেট বলতে কোনো চাল নেই!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
মিনিকেট বলতে কোনো চাল নেই!

ঢাকা: বাজার থেকে মিনিকেট চাল কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। যে চাল মিনিকেট হিসেবে বিক্রি হচ্ছে সেগুলো আসলে পলিশিং মেশিনে কাটা মোটা চাল। এই চালে স্বাভাবিক খাদ্যমান নেই বলে মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস)। স্বাভাবিক খাদ্যমানহীন এই চাল বাজারজাত বন্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ গবেষণা ফল উপস্থাপন করা হয়। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, মিনিকেট বলতে কোনো চাল নেই।

যা বাজারে পাওয়া যায় সবই কৃত্রিম উপায়ে তৈরি।
 
বৈঠক শেষে কমিটি সদস্য মহিবুর রহমান মানিক বাংলানিউজকে বলেন, বিক্রেতারা ক্রেতাদের চরমভাবে ঠাকাচ্ছে। বাজারে এলে মিনিকেট বলতে কোনো চাল নেই সবই মেশিনে কাটা পলিশিং করা চাল। এতে চালের আবরণ নষ্ট হচ্ছে, মানুষ পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এই চাল বন্ধে কৃষি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়কে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
 
দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের চালের মিল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণায় উঠে এসেছে মিনিকেট নামে যে চাল বিক্রি হচ্ছে তা সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন। মিনিকেট নামে কোনো চাল নেই, মোটা চাল পলিশিং মেশিনে কেটে আবরণ তুলে সাদা করা হচ্ছে। এতে করে খাদ্যগুণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে মানুষ ভাত থেকে যে পুষ্টিগুণ পাওয়ার কথা সেই পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একই ভাবে চড়া দামে বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে বিক্রেতারা। অতি মুনাফা লাভের জন্যই এটি করা হচ্ছে বলে প্রতিয়মান হয়েছে গবেষণায়।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১০৭টি গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে, এরমধ্যে ৪৪ দশমিক ১৭ শতাংশ সরকারের অর্থায়নে, ৫২ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেসরকারি অর্থায়নে এবং ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ নিজস্ব অর্থায়নে শেষ করা হয়েছে।
 
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে যে কোনো প্রকল্প নেওয়ার আগে যথেস্ট গবেষণা করে বাস্তব ভিত্তিক এবং দেশের কল্যাণের জন্য প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ লুটপাটের ঘটনা কিভাবে রোধ করা যায় এবং শেয়ার বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে সে সম্পর্কে আরো কার্যকর গবেষণা পরিচালনা করার সুপারিশ করা হয়।
 
কমিটি সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী  আ হ ম মুস্তফা কামাল, মেজর (অব.) রফিকুর ইসলাম, মুহিবুর রহমান মানিক, তাজুল ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন। কমিটির বিশেষ আমন্ত্রণে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
 
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব, বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
এসএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।