ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এবার কোরবানিতে ভাটা, পশুর দামও ১০ শতাংশ বেশি

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এবার কোরবানিতে ভাটা, পশুর দামও ১০ শতাংশ বেশি দেশি গরুর চাহিদাই বেশি ছিল এবার (ফাইল ফটো)

ঢাকা: গত বছরের তুলনায় এবারের ঈদ-উল আযহায় লক্ষাধিক পশু কম কোরবানি হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চল ও হাওরে বন্যার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে কোরবানি হয়নি। পশুখাদ্যের দামও গত বছরের চেয়ে ১০ শতাংশ চড়া থাকায় অনেকে কোরবানি দিতে পারেননি বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর (ডিএলএস)।

অধিদফতর সূত্র জানায়, ২ কোটি ৩৮ লাখ গরু-মহিষ ও ২ কোটি ৬০ লাখ ছাগল-ভেড়াসহ দেশে প্রায় ৫ কোটি পশু ছিল। এর মধ্যে ৪৪ লাখ গরু-মহিষ ও ৬০ লাখ ছাগল-ভেড়া মিলিয়ে এবার এক কোটি চার লাখ পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে, গত বছর যে সংখ্যা ছিল এক কোটি ৫ লাখ।

আশা করা হয়েছিলো, গতবারের তুলনায় এবার কোরবানির সংখ্যা বাড়বে।

অথচ এবার কোরবানির জন্য ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার পশু প্রস্তুত ছিলো, যা চাহিদার তুলনায় বেশি।   এর মধ্যে গরু-মহিষ ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার ও ছাগল-ভেড়া ৭১ লাখ। কিন্তু দেশে বন্যার কারণে কোরবানি দিতে পারেননি অনেকে। বন্যা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক না হলে পশুর চাহিদা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তো।
 
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মুখপাত্র ডা. আব্দুল হালিম বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় কোরবানির পশুর বাজারমূল্যও ১০ শতাংশ বেশি ছিলো। গতবার যে গরু ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, এবার সেই গরু ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
 
এবার গড়ে ছোট গরু ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা, মাঝারি গরু ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা এবং বড় গরু এক লাখ থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে মহিষ ৭০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা ও ছাগল-ভেড়া গড়ে ১৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।