ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্বস্তি ফিরছে চালে, অস্বস্তি রয়েছে সবজিতে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
স্বস্তি ফিরছে চালে, অস্বস্তি রয়েছে সবজিতে স্বস্তি ফিরছে চালের বাজারে- ছবি: শাকিল

ঢাকা: চালের বাজার ধীরে ধীরে নিম্নমুখী হচ্ছে। তবে কয়েক দিন আগে পাইকারি বাজারে চালের দাম কমায় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) খুচরা বাজারেও এর প্রভাব দেখা যায়। বিভিন্ন প্রকারের চালে কেজিপ্রতি ২-৩ টাকা দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে নাজিরশাইরের দাম।

বন্যায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সবজি চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে সবজির বাজারে।

 শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শুক্রাবাদ কাঁচাবাজার ও পূর্ব-রাজাবাজার কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।



চালের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী  প্রতিকেজি মিনেকেট ৬৩ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৫ টাকা, নাজিরশাইলের দাম অপরিবর্তিত ৭০ টাকা, বিআর-২৮ ৫৪ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ৫৭ টাকা, পারিজা ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে যা গত সপ্তাহে ছিল ৫২-৫৩ টাকা।  

চালের নিম্নমুখী দর সম্পর্কে কারওয়ানবাজারের খুচরা বিক্রেতা নাজির তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে চালের দর কমার কারণে খুচরা বাজারেও কমতে শুরু করছে। এখন আশা করা যাচ্ছে ধীরে ধীরে বাজার স্থিতিশীলতার দিকে এগোবে।
তবে চালের নিম্নমুখী দরের ছোঁয়া সব খুচরা বাজারে লাগেনি। যেসব ব্যবসায়ীদের কাছে আগের চালানের চাল রয়ে গেছে তারা বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন।
অস্বস্তি কাটেনি সবজির বাজারে- ছবি: শাকিল পূর্ব রাজাবাজারে চাল বিক্রেতা মিজান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখনো নতুন দামে বিক্রি করতে পাড়ছি না। আমাদের কাছে আগের চালানের চাল রয়ে গেছে। নতুন চালান নিয়ে আসলে তখন কম দামে বিক্রি করতে পারবো।  

এদিকে সবজির বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও অস্বস্তি রয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ক্রেতা বিক্রেতারা উভয়েই। তারা বলছেন, বন্যায় সবজি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এখনো দাম সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

সবজির সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্যানুযায়ী টমেটো ৯০-১০০ টাকা, সিম ১২০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বর্বটি ৮০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা বেগুন ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, ধনিয়াপাতা ১৬০ টাকা করে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া চিচিঙ্গা গত সপ্তাহ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা ও কাঁচামরিচ ১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।  
অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও মাছ মাংসের  দাম।

সর্বশেষ খুচরা বাজার দর অনুযায়ী দেশি পেঁয়াজ ৪৮ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৫ টাকা দেশি রসুন ১১০ টাকা, আমদানি করা রসুন ১০০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১১০ টাকা, আমদানি করা ডাল ৭০ টাকা, আমদানি করা আধা ১০০ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।
 মাছ-মাংসের বাজার স্থিতিশীল- ছবি: শাকিল
মাছের সর্বশেষ বাজার দর ৮৫০ ও ৮০০ গ্রাম ইলিশ প্রতি পিস যথাক্রমে  ৬০০ ও ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি বড়, মাঝারি ও ছোট চিংড়ি, যথাক্রমে ৬০০, ৫৫০ ও ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

এছাড়া প্রতিকেজি রুই মাছ ২০০ টাকা, কাতল মাছ ২০০ টাকা, রূপচাঁদা ৭২০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা ও পাঙ্গাশ মাছ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার রয়েছে গত সপ্তাহের দর অনুযায়ী। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কর্ক মুরগি সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা সেপ্টেম্বর ২২,২০১৭
এমএসি/বিএস              

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।