ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সম্ভাবনা রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৭
সম্ভাবনা রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশ ওয়াটার এক্সপো-২০১৭- ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: পানি দূষণরোধ ও বিশুদ্ধ পানি পান করার নিশ্চিতকরণের প্রয়োজনীয়তা সবার কাছেই অধিক গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে পানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রয়োজনীয় রাসায়নিক যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে তিনদিন ব্যাপী শুরু হয়েছে ‘বাংলাদেশ ওয়াটার এক্সপো-২০১৭’।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসায়ী টু ব্যাবসায়ী এ প্রদর্শনীতে যুগোপযোগী সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। পানির সঙ্গে সম্পর্কিত বিদেশি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত এ সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে তারই প্রমাণ মিলেছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীদের সমাগমে পরিপূর্ণ থাকতেও দেখা যায়।

মেলায় আসা দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানির মতো জরুরি প্রাকৃতিক উপাদান নিশ্চিত করার প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে এটি একটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। আর অন্যান্য দেশ থেকে আসা এসব ব্যবসায়ীরাও এ বিশাল সম্ভাবনার জন্যই এদেশে ব্যবসা করতে এসেই তাদের সুযোগের সৃষ্টি করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়াটার এক্সপো-২০১৭- ছবি: শাকিল আহমেদ
গাজীপুর থেকে আসা গার্মেন্টস মেশিনারিজ ও বিভিন্ন উপাদান সরবরাহ সম্পর্কিত ব্যবসায়ী ইশাদী হাসান বাংলানিউজকে বলেন, গার্মেন্টসে প্রয়োজনীয় শেলাই মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি সরবরাহের ব্যবসা করি। তার সঙ্গে পানির মতো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয় নিয়ে ব্যবসা করার ইচ্ছা এ এক্সপো প্রদর্শনী হওয়ার কারণেই সৃষ্টি হয়েছে। আর এখানে বেশিরভাগ বিদেশি কোম্পানিগুলো নতুন এসেছে। তাদের ডিলারও প্রয়োজন। বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে কথা হয়েছে। আরও দেখে সুবিধা অনুযায়ী ব্যাবসায়িক চুক্তি করার ইচ্ছা আছে।

সাভার থেকে আসা পানির সম্পর্কিত আরেক ব্যাবসায়ী আরিফুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমত এ ব্যবসার জন্য অন্যান্য ব্যবসা শুরু করার মতো অনেক মূলধন নিয়ে না নামলেও চলে। কারণ অল্প কিছু পরিমাণ পানির ফিল্টার কিনে এ ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন স্টলে কথা বলেছি। এছাড়া গার্মেন্টসের রাসায়নিক দ্রব্যও আছে। সে বিষয়ে চিন্তা করছি।

প্রদর্শনী ঘুরে ও পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যায় এ প্রদর্শনীতে আসা প্রায় ৬৫ শতাংশ দর্শনার্থীই ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা।
 
এ বিষয়ে প্রদর্শনীর মূল আয়োজক ভারতের ওয়াটার টুডে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস সানমুগাম বাংলানিউজকে বলেন, প্রদর্শনীতে ভারত, শ্রীলংকা, চীন, সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশ এ পাঁচটি দেশের সর্বমোট ৭৫টি কোম্পানির ৫৫টি স্টল রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য দেশের যে কোম্পানিগুলো এসেছে তাদের মধ্যে এমনকি আমরাও এদেশে নতুন এসেছি ব্যবসা করার খাতিরে। শুরুরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) থেকেই আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা আশাহত হই নি।

তিনি বলেন, যে পরিমাণ সাড়া পেয়েছি তাতে এদের মধ্য থেকে এখন এদেশে ডিলার বা সাপ্লাইয়ার বেছে নেওয়ার সুযোগও পেয়েছি। আর এ প্রদর্শনীতে আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যাড্রয়েট ইনভায়রনমেন্ট কনসালট্যান্ট লিমিটেড এখন আমাদের অভিভাবক। তারা আমাদের শুরু থেকেই ব্যাপক সহায়তা করছে। ডিলার বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রেও তারা সঠিক পরামর্শ দিচ্ছে। তাই আমরা আমাদের এ এক্সপোর উদ্যোগটা স্বার্থক মনে হচ্ছে।
 
বাংলাদেশে পানি সম্পর্কিত এই প্রদর্শনীর আয়োজন এই প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়েছে। এ প্রদর্শনী প্রতি বছর আয়োজন করা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে আয়োজকরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৬ ঘণ্টা অক্টোবর ০৬, ২০১৭
এমএএম/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।