ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পাইকারি বাজারে কমেছে মরিচের দাম

অন্তু মুজাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৭
পাইকারি বাজারে কমেছে মরিচের দাম পাইকারি বাজারে কিছুটা কমেছে মরিচের দাম

ঢাকা: হঠাৎ করে অস্থিতিশীল হয়ে ওঠা কাঁচা মরিচের বাজারদর কিছুটা নমনীয়। দাম কমেছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা। সাম্প্রতিক বন্যার সময় মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার প্রভাব এখন বাজারে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পাইকাররা।

শনিবার (০৭ অক্টোবর) সকালে যাত্রাবাড়ি সবজি বাজার ঘুরে পাইকারি দোকানগুলোতে কাঁচামরিচ কিছুটা কম দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, গত মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম ৯০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ টাকা হয়ে যায়।

এই বাড়তি দাম ৪ দিন স্থায়ী হয়। তবে গতকাল থেকে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। এখন বাজারে মরিচ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ি থ্রি স্টার পাইকারি সবজি বাজারের ব্যবসায়ী মো. সাঈদ খান বাংলানিউজকে জানান, বন্যার সময় মরিচ ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তার প্রভাব এখন বাজারে পড়েছে। চাহিদার তুলনায় মরিচের যোগান কম হওয়ায় দাম বেশি।

তিনি আরও জানান, ভারত থেকে মরিচের চালান আসতো। পূজার ছুটি থাকায় ভারত থেকেও এখন চালান নেই।   বাজারে ভারতীয় মরিচ আসা শুরু হলে দাম আরও কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন এই ব্যবসায়ী।  

এদিকে, খুচরা বাজারে গত কয়েকদিনে মরিচ কেজিপ্রতি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ৫ -১০ টাকার মরিচ তো বিক্রিই করেনি বিক্রেতারা।

আজ যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদের আশেপাশের খুচরা বাজারে মরিচের দাম কমে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মরিচের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে পেঁয়াজের। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৬ থেকে ৮ টাকা বেড়েছে।

গত সপ্তাহে যে দেশি পেঁয়াজ ৩৬ টাকা ছিল এখন তা ৬ টাকা বেড়ে ৪২ টাকা। প্রতি ৫ কেজি ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এখন তা ৮ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ৩৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম বৃদ্ধি কারণ জানতে চাইলে মেসার্স লৌহজং বাণিজ্যালয়ের ব্যবসায়ী লিংকন খান বলেন, যে পেঁয়াজ গত ৬ মাস আগে উঠেছে তা শেষের পথে। এখন নতুন পেঁয়াজ বাজারে না ওঠা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এছাড়া ইন্ডিয়া থেকে যে এলসি পেয়াজ আসে তা এখন বন্ধ আছে। যদি পর্যাপ্ত ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ আমদানি হয় তাহলে দাম আর বাড়বে না।

বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৭
এএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।