ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
মোবাইল অপারেটরদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ

ঢাকা: মোবাইল অপারেটরগুলোর বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। মোবাইল ব্যাংকিংকে আরও গ্রাহকবান্ধব করতে পারলে অর্ন্তভুক্তিমূলক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য মোবাইল ব্যাংকিংকে নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) এর চেয়ার প্রফেসর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিআইবিএম সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে এ কথা বলেন।
 
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত দু’দিনের এ সম্মেলন শুরু হয় রোববার (২৬ নভেম্বর)।


 
মূল প্রবন্ধে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ‘অবৈধ লেনদেনগুলোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিট কাজ শুরু করেছে। এ ধরনের অবৈধ লেনদেন অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। কারণ অর্ন্তভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের বড় বাধা হচ্ছে এসব অবৈধ লেনদেন। মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখন তা গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে’।
 
অবৈধ আর্থিক লেনদেন অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিয়ের বড় বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত বছর মোবাইল কোম্পানিগুলো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃপক্ষের আর্থিক লেনদেনের অনুমোদন না থাকায় এ আবেদনে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ বাংলাদেশ ব্যাংক ফোন কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা নয়। যার কারণে মোবাইল কোম্পানিগুলোর আবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যাখ্যান ছাড়া কোনো বিকল্প ছিলো না।
 
অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতির জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম দায়িত্ব।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর এসকে সুর চৌধুরী বলেন, আর্থিক অবকাঠামোতে দৃশ্যমান গতি আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর্থিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের দিকে দেশকে এগিয়ে নেওয়া এর মূল উদ্দেশ্য।
 
তিনি বলেন, এরইমধ্যেই আন্তঃব্যাংক লেনদেনে মোবাইল ব্যাংকিং যুক্ত হয়েছে। এর ফলে প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসছে। মোবাইল ব্যাংকিংকে বাংলাদেশ ব্যাংক আরো গ্রাহকবান্ধব করতে চায়। এতে অর্ন্তভুক্তিমূলক অথনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এজন্য স্কুল ব্যাংকিং ছাড়াও আর্থিক খাতের বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে ‘ডিজিটালাইজড’ বা শতভাগ স্বয়ংক্রিয় করাই এখন প্রধান উদ্দেশ্য।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৭
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।