ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
উন্নয়নশীল দেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম বাংলাদেশ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর যেসব বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ আসবে, সেগুলো মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ সক্ষম। তবে বাংলাদেশ অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে।

রোববার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু উপস্থিত ছিলেন।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পকে বাধাগ্রস্ত করে চক্রান্ত হয়েছিল। এ শিল্পের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে শিশুশ্রম বন্ধ এবং রফতানি ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জেরে মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে এসেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাঙালি বীরের জাতি, চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যেতে জানে। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পর যেসব বাণিজ্য চ্যালেঞ্জ সামনে আসবে, সেগুলো মোকাবেলা করতে প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ। পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের দেওয়া জিএসপি সুবিধা জিএসপি প্লাস নামে পাওয়া যাবে। যেসব দেশ জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে না, সেসব দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। এতে করে রফতানি বাণিজ্য ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আরো বেশি বিশ্ববাণিজ্যে সক্ষমতা অর্জন করবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধ শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি খাত হবে। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশ ট্রিপস চুক্তির আওতায় শর্ত শিথিল করে ২০৩৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত উন্নত বিশ্বে ওষুধ রফতানির সুযোগ পাওয়ার কথা। স্বাভাবিকভাবেই ২০২৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে। বাকী সময় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এ সুবিধা ভোগ করবে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করবে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর বিশ্ববাসীর আস্থা অনেক বৃদ্ধি পাবে, দেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে।

প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্পেশাল ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। বিশ্ববাণিজ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পেপারলেস ট্রেডের জন্য বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। বিশ্ববাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।

তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বিগত দিনের অভিজ্ঞতায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলো জ্বালাও পোড়াও এর রাজনীতি পরিহার করে নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক ধারায় এসেছে বলে মনে করি। আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
এসই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।