ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বুধবারের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে ইউএস-বাংলা

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১৮
বুধবারের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে ইউএস-বাংলা বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার প্লেনের একাংশ

ঢাকা: নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইট দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ চলতি সপ্তাহেই দেয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় উড়োজাহাজের জন্য কাভারেজ বাবাদ ৭০ লাখ ডলার বা তার সমপরিমাণ টাকা ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। আগামী মঙ্গল অথবা বুধবারের (৪ মার্চ) মধ্যে এ বিমা দাবির টাকা হস্তান্তর করা হবে।

এ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শফিক শামীম। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহের মঙ্গল কিংবা বুধবার ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

সূত্র জানায়, ইউএস-বাংলার মোট দায় ১০০ মিলিয়ন ডলার তথা ১০ কোটি মার্কিন ডলারে দু’টি বিমা করে। এর মধ্যে প্লেনের জন্য মোট ৭০ লাখ ডলার বিমা করা হয়। আর বাকি ৩০ লাখ ডলারের বিমা করা হয় যাত্রী, কেবিন ক্রু এবং পাইলটের জন্য।

দুই ধরনের বিমার মধ্যে উড়োজাহাজের জন্য কাভারেজ বাবদ ৭০ লাখ ডলারের মধ্যে ৭ লাখ ডলার বা সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণের টাকা রোববার (০১ এপ্রিল) বিকেলে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের কাছে চেক হস্তান্তর করবে সাধারণ বিমা করপোরেশন। আর বাকি ৭ লাখ ডলার বা সমপরিমাণ টাকা দেবে সেনাকল্যাণ। এ ছাড়াও নিয়মানুসারে বাকি ৫৬ লাখ ডলার অর্থাৎ সমপরিমাণের অর্থের মধ্যে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিয়ে দিয়েছে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পুন:বিমা কোম্পানি। আর বাকি টাকাও খুব দ্রুত দিয়ে দিবে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে এসবিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বাংলানিউজকে বলেন, প্লেনের ক্ষতির রিপোর্ট পেয়েছি। আজ আমরা আমাদের অংশের (৭ লাখ ডলার) বিমা দাবি পরিশোধ করছি।  যাত্রীদের বিমার সার্ভে রিপোর্ট পেলেই দ্রুত বিমা দাবি দেওয়া হবে।

গত ১২ মার্চ গত সোমবার বেলা ২টা ২০মিনিটে নেপালে অবতরণ করতে গিয়ে ইউএস-বাংলার বিএস২১১ ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়। এতে ৬৭জন যাত্রী আর ৪ জন ক্রুসহ মোট ৭১ জন আরোহী ছিলেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫১জন নিহত ২০জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ম্যাকক্লেরেন এভিয়েশন নামের সার্ভেয়ার কোম্পানি তদন্ত করে। এই রিপোর্টের আলোকেই সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, সাধারণ বিমা করপোরেশন এবং ব্রিটিশ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি কে এম দাস্তুর’ ইউএস-বাংলাকে ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে।

আইডিআর সূত্র জানায়, প্লেন দুর্ঘটনার পরপরই বিমা দাবি করে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

এর ফলে যাত্রীদের দ্রুত বিমা দাবি পরিশোধের লক্ষ্যে দুর্ঘটনার দিন সোমবার বিকেলেই কাঠমাণ্ডু পৌঁছেছে কোম্পানিগুলোর লস-অ্যাডজাস্টার বা সার্ভেয়ারের কর্মকর্তারা। এরপর গত বুধবার আইডিআরএ সঙ্গে দেশি বিমা কোম্পানি সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স, সাধারণ বিমা করপোরেশন (এসবিসি) এবং ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান কেএম দাস্তুর কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। বৈঠেকে বলা হয়, তদন্তরিপোর্ট পাওয়ার ১ মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।