ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

তিনশ বাস ও ৫০০ ট্রাক আসছে

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০১৮
তিনশ বাস ও ৫০০ ট্রাক আসছে বিআরটিসির বাস

ঢাকা: ভারত থেকে ২০০ ডবল ডেকার, ১০০ নন এসি বাস ও ৫০০ ট্রাক আনতে দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতের রাষ্ট্রীয় ঋণের (এলওসি) শর্তানুযায়ী সে দেশে প্রস্তুত করা বাস-ট্রাক কিনতে হবে।

এর আগে ‘টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন’ বা নির্মাণ বৈশিষ্ট্য নিয়ে যে ভিন্নমত দেখা দিয়েছিলো কয়েক দফা বৈঠক শেষে দু’দেশের কর্তৃপক্ষ তাতে একমত হয়েছেন। এতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ বাস-ট্রাকের মান নিয়ে কোনো ছাড় দেয়নি।


 
সোমবার (০২ এপ্রিল) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে এ নিয়ে বৈঠক হয়। ‘পুন:নীরিক্ষা’ এ বৈঠকে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মন্ত্রী অনুমোদনের পর টেন্ডার আহ্বান করা হবে।
 
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. এহসান-ই-এলাহী বাংলানিউজকে জানান, ‘যাচাই বাছাই শেষ হয়েছে। কোয়ালিটির ক্ষেত্রে আমরা কোনো ছাড় দেইনি। এখন টেন্ডার হবে। টেন্ডারে ভারতীয় বাস ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতায় যে ভালো করবে তার বাস-ট্রাক নেয়া হবে। ’
 
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, চলতি বছরের অক্টোবরের দিকে বাস, ট্রাক বহর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বহরে যুক্ত হবে।
 
ঢাকার বাস-ট্রাক সংকট কাটাতে ও পরিবহন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি’র জন্য প্রায় দু’বছর থেকে ভারতীয় ঋণে ১১শ' বাস ও ট্রাক কেনার প্রকল্প প্রক্রিয়া চলছিলো। বিআরটিসিতে গত ৬ মাসে ২৩টি নতুন রুট চালু হয়েছে। এসব রুট পুরাতন ৬৫টি গাড়ি দিয়ে চালানো হচ্ছে। পুরাতন রুট গুলোতেও বাস সংকট রয়েছে।
 
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিভিন্ন যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে এসব বাস-ট্রাক আনতে টেন্ডার আহ্বানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইন্ডিয়ান লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) শর্তানুসারে বাস কিনতে হবে ভারতীয় ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি থেকে। এখন সরকার শিগগিরই একটি আন্তর্জাতিক টেন্ডার আহ্বান করবেন। এতে ভারতীয় কোম্পানিগুলো অংশগ্রহণ করবে। টেন্ডারপ্রক্রিয়া শেষে বাসগুলো এ বছরের শেষ দিকে যুক্ত হবে বিআরটিসির বহরে।
 
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ‘বাস ও ট্রাক কেনা প্রকল্পের রিভিউ মিটিং হয়েছে। যেখানে টেন্ডারে যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। টেন্ডার হলে পরে ভারতের যারা বাস তৈরি করেন তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। যারা ভালো করবে তাদের বাস আনা হবে। এটা তাদের দেশে তৈরি বা জয়েন্টভেঞ্চারে হতে পারে।
 
এজন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ায় এক-দেড়মাস লেগে যাবে। এরমধ্যে মূল্য নির্ধারণের কাজ রয়েছে। তারপর বাস-ট্রাক তৈরি করতে আরো চার-পাঁচ মাস লাগবে। সব মিলিয়ে বছর শেষে বাংলাদেশের সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি পাবে ২০০ ডাবল ডেকার, ১০০ নন এসি বাস ও ৫০০ ট্রাক। তখন ঢাকার রাস্তায় এসব নতুন বাস নামনো হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১৮
এসএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।