ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দুই প্রকল্পে ৪২২৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
দুই প্রকল্পে ৪২২৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

ঢাকা: বিদ্যুৎ সঞ্চালন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং বিমা খাত উন্নয়ন সংক্রান্ত দুটি প্রকল্পে ৫১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। যা স্থানীয় মূদ্রায় (প্রতি ডলার ৮২ টাকা করে) ৪ হাজার ২২৩ কোটি টাকা।

পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ শীর্ষক প্রকল্পে ৪৫ কোটি ডলার এবং বাংলাদেশের বিমা খাত উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পে সাড়ে ছয় কোটি ডলার ঋণ দেবে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে এ সংক্রান্ত পৃথক দু’টি চুক্তি সই হয়েছে।

ইআরডি অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম এবং বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান এসব চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন।

চিমিয়াও ফান বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে গত এক দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে সেই অনুযায়ী বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়নি। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সহযোগিতা করা বিশ্বব্যাংকের অন্যতম অগ্রাধিকার। এই প্রকল্পটিসহ বিদ্যুতের মোট ছয়টি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে।

বিমা খাত উন্নয়নে সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিমা খাতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। বিপুল জনসংখ্যার দেশ হওয়া সত্ত্বেও মাত্র ১ শতাংশ মানুষ বর্তমানে সুবিধার আওতায় আছেন। বিমা খাত উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমা খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়বে বিমা কাভারেজ বাড়বে।

বর্তমানে দেশের পূর্বাঞ্চল তথা কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সঞ্চালন কাঠামো পুরাতন এবং সঞ্চালন ক্ষমতাও সীমিত। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ওই অঞ্চলে গ্রিড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও শক্তিশালী হবে। এর ফলে চট্টগ্রামে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প ও ব্যাপক শিল্পায়নের জন্য ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হবে। পিজিসিবি প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে আছে।  

প্রকল্পটির জন্য বিশ্বব্যাংকের স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি (এসইউএফ) তহবিল থেকে ৪৫ কোটি ডলার বা প্রায় তিন হাজার ৬৪২ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৫ হাজার ৮০৪ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে দেয়া হচ্ছে এক হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। আর পিজিসিবির নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে ৪৭৮ কোটি টাকা।

 

বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তার জন্য কিছুটা চড়া সুদ দিতে হবে। ম্যাচুরিটি পিরিয়ড ৩৫ বছর এবং গ্রেস পিরিয়ড ৪ বছর। এভারেজ রিপেমেন্ট ম্যাচুরিটি (এআরএম) ২০ বছর। সুদের হার ইউরোবরের ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ সুদ যোগ হবে।  

অপরিদেক অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতায় নেয়া বীমা খাত উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ পাওয়া যাচ্ছে সহজ শর্তে। বিশ্বব্যাংকের আইডিএ তহবিল থেকে পাওয়া এ ঋণের জন্য সার্ভিস চার্জ দিতে হবে বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ ঋণ পরিশোধে ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছর সময় পাওয়া যাবে।

বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমা করপোরেশন ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।