ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আসছে বাজেটে নতুন কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
আসছে বাজেটে নতুন কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ছবি: শাকিল / বাংলানিউজ

ঢাকা: ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে নতুন কিছু থাকছে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। 

তিনি বলেছেন,  এবার নির্বাচনের বছর, নির্বাচনের বছরে বাজেটে নতুন করে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না। সুতরাং আমরা পুরানো যেসব উদ্যোগ রয়েছে সেগুলো কীভাবে পারেফেক্ট করা যায় সে অনুযায়ী কাজ করা হবে।

আর এটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। নতুনভাবে সেগুলোর প্রতি জোর দেওয়া হবে।
 
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক কমিটির ৩৯তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
 
অর্থমন্ত্রী এএমএ মুহিত বলেন, ১০ বছর আগেও এনবিআরে কর দিতে এসে করদাতাকে হয়রানির শিকার হতে হতো। এখন তা অনেকাংশে কমে এসেছে। ফলে গত দুই-এক বছর আগেও যেখানে করদাতার সংখ্যা ছিল ১৪ লাখ, এবার তা প্রায় ৩০ লাখে দাঁড়িয়েছে।
 
‘ট্যাক্স দাতাদের ট্যাক্সের পরিমাণ কম হতে পারে কিন্তু তাদের মধ্যে যে এ নিয়ে যে ভয়ভীতি ছিল সেটা অনেকাংশে কমে গেছে। সে কারণে করদাতার সংখ্যা বাড়ছে। ’

 অর্থমন্ত্রী বলেন,  বাংলাদেশে এখন অ্যাগ্রো প্রসেসিং (কৃষি প্রক্রিয়াজত) শিল্প ভালো করছে। কৃষিজাত এসব পণ্যকে সবচেয়ে উত্তম প্রোডাক্টে পরিণত করবো। তাই সরকার এ খাতকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।  

‘বর্তমানে যেসব সুবিধা রয়েছে আগামী বাজেটেও এটা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানিতে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। সরাসরি রফতানির ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা (ক্যাশ ইনসেটিভ) থাকবে। ’
 
আসছে বাজেটে সরাসরি রফতানি করা পণ্যে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবে, পোল্ট্রি খাতে কোনো প্রণোদনা দেওয়া সম্ভব হবে না বলে তিনি জানান।  
 
‘এছাড়া দেশীয়ভাবে তৈরি রুটি ও বিস্কুটের বাজার যাতে চাঙ্গা হয় সে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি পাথর আমদানির ওপর ৬৯ শতাংশ কর যাতে না থাকে সে বিষয়টা দেখ‍া হবে,’ যোগ করেন মুহিত।  
 
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে পরামর্শক সভায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।  

কর ও ব্যবসায়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন এনবিআর’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ নানা খাতের ব্যবসায়ী নেতারাও।  
 
এনবিআর ও এফবিসিসিআইয়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সভা সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
 
সভায় এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা, করপোরেট কর ২দশমকি ৫ শতাংশ কমানো এবং ব্যক্তিগত করদাতার প্রদর্শিত নিট পরিসম্পদের (অ্যাসেটস) ভিত্তিতে সারচার্জের শূন্য শতাংশের সীমা ৩ কোটি টাকা বাড়ানোসহ ১৬৬টি প্রস্তাব করা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮/আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা
এমএফআই/এমএএম/এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।