ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রমজানের আগেই চড়া মুরগির বাজার

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
রমজানের আগেই চড়া মুরগির বাজার বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: আসছে রমজান মাসকে সামনে রেখে মুরগির মাংসের দাম বাড়িয়ে চলেছেন বিক্রেতারা। অজুহাত হিসেবে কেউ বলছেন ফার্মে মুরগি নেই, কেউ বলছেন শীতে মুরগি পালনে ব্যাঘাত ঘটেছে।

সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী বয়লার মুরগির মাংস কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা ও পাকিস্তানি কক ও সোনালি মুরগির মাংসের দাম পিস প্রতি বেড়েছে ৩০-৪০ টাকা।

বাজার দর অনুযায়ী, বয়লার মুরগি ১৫০ যা গত দুই সপ্তাহ আগে যা ছিল ১৪০ টাকা।

১৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায় এবং ২শ’ টাকায় বিক্রি হওয়া প্রতি পিস সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়।

এছাড়া গরুর মাংস ও খাসির মাংসও আগের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, প্রতি কেজি খাসির মাংস ৭৮০-৮০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর  কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা যায়।
কাঁচা সবজির বাজার।  ছবি: সুমন শেখকারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. সাদ্দাম বাংলানিউজকে বলেন, শীতে মুরগি পালন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই চাহিদা অনুযায়ী যোগানের সংকট রয়েছে বাজারে, অন্যদিকে রমজান সামনে রেখে প্রতিবারই দাম কিছুটা বাড়তি থাকে।

তবে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর অন্যসব বাজার থেকে এখানে কেজি প্রতি ও পিস প্রতি ১০ টাকা কমে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে মুরগির চড়া দাম সম্পর্কে হাতিরপুল কাঁচাবাজারের মুরগির খুচরা বিক্রেতা মো. লিটন বাংলানিউজকে বলেন, শবে বরাত ও রমজানকে সামনে রেখে প্রতি বছরই মুরগির বাজার চড়া থাকে, এইটা কোনো নতুন কিছু না। দাম সামনে আরও বাড়তে পারে।

অন্যদিকে চড়া দামের হাওয়া ইতিমধ্যে চিনি ও ছোলাতেও লেগেছে। প্রতি কেজি চিনি ৬০ টাকা এবং ছোলা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা রমজানকে সামনে রেখে আরও বাড়বে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

হাতিরপুল কাঁচাবাজারের ক্রেতা শিবলি বাংলানিউজকে বলেন, রমজানে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা দরকার। রমজান শুরুর আগেই দাম বাড়ানো শুরু করেছেন বিক্রেতারা।

অন্যদিকে চালের বাজারের আগুন কমার কোনো লক্ষণ নেই। দীর্ঘদিন ধরেই চালের বাজার দরে এমন ঊর্ধ্বগতি চলছে। সর্বশেষ খুচরা মূল্য অনুযায়ী চালের বাজার দর, কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা, ১ নম্বর মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৪ টাকা, সাধারণ মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা, বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা ও স্বর্ণা এবং পারিজা ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে সবজির বাজারে এখনো কিছুটা সুবাতাস ক্রেতাদের জন্য রয়েছে। সবজির সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি টমেটো ২৫ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, ধনিয়া পাতা ১০০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, আলু ২০ টাকা, ডেরস ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, করলা ৪০টাকা, প্রতি জোড়া বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক ৩ আঁটি ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ, আদা ও রসুনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার দর এখন পর্যন্ত কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। সর্বশেষ বাজার দর অনুযায়ী, দেশি পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৪০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড় কেজি প্রতি আমদানি করা রসুন ১০০ টাকা, দেশি রসুন ৬০, দেশি মসুর ডাল ১০০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৭০ টাকা, ছোলা ৯০ টাকা ও আদা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মাছের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। মাছের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
এমএসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।