ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আবারও বাড়লো চিনি-ছোলার দাম

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
আবারও বাড়লো চিনি-ছোলার দাম ক্রেতার জন্য অপেক্ষায় এক দোকানি। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রমজান উপলক্ষে পর্যাপ্ত পরিমাণে ছোলা ও চিনিসহ ভোগ্যপণ্য মজুদ রয়েছে। ‘দাম বাড়বে না’ সরকার ও পাইকারি বিক্রেতাদের এ ঘোষণার পর সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বেড়েছে চিনি ও ছোলার দাম।

রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতিকেজি ছোলার দাম বেড়েছে ৮ থেকে ১০ টাকা। আর এককেজি চিনির দাম বেড়েছে পাঁচ টাকা করে।

রোজা শুরু আগে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছিলেন, ‘এবার পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় ভোগ্যপণ্যের সংকট হবে না। ফলে কোনো পণ্যের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। ক্রেতার জন্য অপেক্ষায় এক দোকানি।  ছবি: বাংলানিউজঅথচ বাণিজ্যমন্ত্রীর এ আশ্বাসের পরও বেড়েছে চিনি ও ছোলার দাম।

শনিবার (১৯ মে) কমলাপুর, মতিঝিল এজিবিকলোনি, মালিবাগ, ফকিরাপুল, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। আর মানভেদে চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহে ছোলা প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আর চিনি বিক্রি হয়েছে ৫৮ থেকে ৬৫ টাকায়।

এসব বাজারে প্রতিকেজি অস্ট্রেলিয়ান ছোলা খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। আর মিয়ানমার থেকে আনা প্রতিকেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।

ছোলার পাশাপাশি এসব বাজারে দেশের উৎপাদিত কেজিপ্রতি চিনি খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা করে। আর খোলা সাদা কেজিপ্রতি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। এছাড়াও প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৩ থেকে ৬৫ টাকায়।

মতিঝিল এজিবি কলোনির চাঁদপুর ট্রের্ডাসের মালিক মশিউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘অস্ট্রলিয়ান ছোলা একদাম ৭৫ টাকা’।

মিয়ানমারের ছোলার দাম কত? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আরও ভাল ছোলা, নিলে দাম ৮৫ টাকা।

একই সারিতে থাকা তমিজউদ্দিন স্টোরের কর্ণধার বলেন, ‘আমার দোকানে দেশি ছোলা নেই, আছে অস্ট্রলিয়ান, নিলে আপনার জন্য ৭০ টাকা রাখতে পারবো। আর মিয়ানমারের ছোলা রাখবো ৮০ টাকা।

ফকিরাপুলের ভাই ভাই স্টোর ও শান্তিনগর কাঁচাবাজারে মেসার্স মতলব স্টোরে মালিক কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে দেশি চিনি বিক্রি করেছি ৬৫ টাকায়। গত তিনদিন ধরে ওই চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর খোলা সাদা চিনি বিক্রি করছি ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা করে। গত সপ্তাহে সাদা চিনি বিক্রি করেছি ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়।

দাম বাড়ার কারণ কি? জানতে চাইলে উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাস্তায় ব্যাপক জ্যাম। তাই আনাতে খরচ বেড়েছে। এজন্য একটু বেশি দামে বিক্রি করছি’।

খুচরা বাজারে বেশি দাম নেওয়ার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফি বলেন, ‘পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি ছোলা ৫২ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিয়ানমারেরটা সর্বোচ্চ ৬০ থেকে ৬৩ টাকায়। খুচরা বাজারে কত টাকায় বিক্রি করবে তা খুচরা বিক্রেতাদের বিষয়। তারা যদি বেশি দামে বিক্রি করে তা দেখার দায়িত্ব সরকারের।

এদিকে রোজায় দাম স্বাভাবিক রাখতে মতিঝিলে ৬০ টাকা দামে বিক্রি করছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআই)।  এছাড়া ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) প্রতিকেজি চিনি ৫৫ টাকায় ও কেজিপ্রতি ছোলা খোলা বাজারে বিক্রি করছে ৬৫ টাকায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৮
এমএফআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।