ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জমজমাট রাঙামাটির আমের বাজার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৮
জমজমাট রাঙামাটির আমের বাজার আম বিক্রি করছেন দুই ব্যবসায়ী। ছবি: বাংলানিউজ

রাঙামাটি: আমের বাম্পার ফলন হওয়ায় রাঙামাটির বাজার এখন সরগরম। জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানি করা হচ্ছে আম। দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। 

শহরের কয়েকটি আমের বাজার ঘুরে দেখো যায়, ভরা মৌসুমে শহরের অধিকাংশ ফুটপাত দখল করে ভাসমান আম ব্যবসায়ীরা ব্যবসা জমিয়ে তুলেছে এবং দামও পাচ্ছে বেশ ভাল। স্থানীয় জাতের আম্রপালি, রাঙ্গুর পাশাপাশি রাজশাহী থেকে আনা লক্ষণভোগ এবং ল্যাংড়া জাতের আমই বিক্রি হচ্ছে বেশি।

স্থানীয় জাতের আম্রপালি বিক্রি করা হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়, রাঙ্গু ৩৫-৪০ টাকায়। পাশাপাশি রাজশাহীর লক্ষণভোগ বিক্রি করা হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায় এবং ল্যাংড়া বিক্রি করা হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।

জেলা শহরের বনরূপা বাজার এলাকায় আম কিনতে আসা গৃহিনী আমেনা নওশিন বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। সাধ এবং সাধ্যর মধ্যে আম কিনতে পেরে ভাল লাগছে।

বনরূপা বাজার এলাকার আরেক ক্রেতা সরকারি চাকরিজীবী মাসুদ রানা বাংলানিউজকে বলেন, মৌসুমী ফল বছরে একবার পাওয়া যায়। তাই চেষ্টা করি পকেটের টাকা হিসেব করে বাচিয়ে মৌসুমী ফল কিনতে। এসব মৌসুমি ফলে ফরমালিন না থাকায় টেনশনবিহীন খাওয়া যায়।

আম বিক্রেতা রমজান আলী বাংলানিউজকে জানান, রাঙামাটিতে এ বছর আমের ব্যাপক চাষ হয়েছে। তাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে আম এখন জেলার বাইরে রপ্তানি করা হচ্ছে।  

রাঙামাটি কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ১৯০৮ হেক্টর জমিতে ২১ হাজার ৩৩১ মেট্রিক টন, ২০১৪ সালে ২৯৪৩ হেক্টর জমিতে ৩২ হাজার ৯০৩ মেট্রিক টন, ২০১৫ সালে ২৯৫৫ হেক্টর জমিতে ৩৬ হাজার ৯৫ মেট্রিক টন, ২০১৬ সালে ৩৩৫০ হেক্টর জমিতে ৩০ হাজার ১৮৪ মেট্রিকটন এবং ২০১৭ সালে ৩৩৭০ হেক্টর জমিতে ২৩ হাজার ৪১০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর আমের ভাল ফলন হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটি শাখার উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর জেলায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। আর আমের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।