ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জুন পর্যন্ত গ্রামীণফোনের গ্রাহক ৬ কোটি ৯২ লাখ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
জুন পর্যন্ত গ্রামীণফোনের গ্রাহক ৬ কোটি ৯২ লাখ

ঢাকা: ২০১৮ সালের শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৯২ লাখ হয়েছে।যার মধ্যে ৩ কোটি ৪৫ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। 

বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব আয় ৬৩৮০ কোটি টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১.২ শতাংশ।

 

কর পরবর্তী নেট মুনাফা ২৬ শতাংশ মার্জিনসহ ১৭২০ কোটি টাকা, ইপিএস ১২.৭৪ টাকা।

৪-জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ ২৫৪০ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অবদান গ্রামীণফোনের ৪৭৯০ কোটি টাকা রয়েছে।

গ্রামীণফোন লিমিটেড ৬ কোটি ৯২ লাখ গ্রাহক নিয়ে ২০১৮ সালের প্রথমার্ধ শেষ করেছে। প্রবৃদ্ধি ছিল গত বছরের তুলনায় ৫.৯% বেশি। ডাটা গ্রাহক বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লাখ যা মোট গ্রাহকের ৪৯.৯ শতাংশ।

২০১৮ সালের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৩৮০ কোটি টাকা যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.২ শতাংশ বেশি। ডাটা থেকে অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি ছিল ২১,১% আর ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি হয় ২.৪%। গত প্রান্তিক থেকে অনুসৃত নতুন অ্যাকাউন্টিং নিয়মাবলীকে আমলে নিয়ে গত বছরের তুলনায় আমাদের মোট রাজস্ব প্রবৃদ্ধি
হয়েছে ৪.৬%।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, বিরূপ আবহাওয়া এবং তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ ছিল খুবই কঠিন। তবুও আমরা স্বাস্থ্যকর প্রবৃদ্ধি এবং মার্জিন বজায় রাখতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা ২০ লাখ ৪জি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রম করেছি এবং গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে আমাদের নেটওয়ার্ক বিস্তার ও আধুনিকায়নের কাজ পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলছে । আমাদের সুসংহত ভয়েস ও প্রতিযোগিতামূলক ডাটা অফার গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়েছে।
বছরের প্রথমার্ধে কর পরবর্তী নেট মুনাফা হয়েছে ২৬ % মার্জিনসহ ১৭২০ কোটি টাকা। এই সময় শেয়ার প্রতি আয়, অর্থাৎ ইপিএস ১২.৭৪ টাকা হয়েছে।

গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের ইবিআইটিডিএ এবং মার্জন দুটোই
বেড়েছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমরা ইতিবাচকভাবে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ শেষ করতে পেরেছি।  

তিনি আরো বলেন, গ্রামীণফোনের বোর্ড পরিশোধিত মূলধনের ১২৫% অন্তবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছেন। গ্রামীণফোন লি. ৪-জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে
বছরের প্রথমার্ধে বিনিয়োগ করেছে ২৫৪০ কোটি টাকা । এই সময়ে কোম্পানি কর, ভ্যাট, শুল্ক, স্পেকট্রাম বরাদ্দ, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ও লাইসেন্স ফে আকারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অবদান ৪৭৯০ কোটি টাকা প্রদান করেছে যা মোট রাজস্বের ৭৪.৭%।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।