ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর বিকল্প নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
বাণিজ্য সুবিধা বাড়ানোর বিকল্প নেই বক্তব্য দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ছবি: বাংলানিউজ আর্কাইভ

ঢাকা: প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব বাণিজ্যে সফলতা অর্জন করতে হলে বাণিজ্য অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

বুধবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্প-১’(বিআরসিপি) এর আওতায় ন্যাশনাল ট্রেড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট ফেসিলিটেশন কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে দ্রত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বিশ্বব্যাপী এখন ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো অর্থাৎ অনলাইনে স্বল্প সময়ে এবং স্বল্প খরচে ব্যবসা-বাণিজ্য জনপ্রিয়।

‘আমদানি-রপ্তানির কাজে ব্যবহ্যত দেশের নৌ ও স্থল বন্দরগুলোকে যুগোপোযোগী ও আধুনিক করতে হবে। সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। যাতে যথাসময়ে প্রকল্পের সকল কাজ সম্পন্ন করা যায়। ’ 

তিনি বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট ভূ-অবকাঠামো এবং পদ্ধতিগত পরিঅবকাঠামোর উন্নয়ন, নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে সমন্বয় এবং দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক সহায়তার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সার্বিক সমন্বয়ে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রকল্প-১ (বিআরসিপি) গ্রহণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এতে নিবিড় ভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।  

সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, সড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, অর্থ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুস সামাদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, আইসিটি ডিভিশনের সচিব জুয়েনা আজিজ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, শিল্প মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেন প্রকল্প পরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনীর চৌধুরী।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
আরএম/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।