ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

গাবতলী হাটে আসছে গরু

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
গাবতলী হাটে আসছে গরু গাবতলী হাটে দেশি গরুর অাধিক্য/ছবি: বাদল

ঢাকা: ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে রাজধানীর গাবতলী স্থায়ী পশুর হাট সরগরম হয়ে উঠছে। বৃহস্পতিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল থেকে ট্রাক ভর্তি করে আসা শুরু করেছে গরু। তবে হাট পুরোদমে জমেনি। ঢাকা শহরে পশু রাখার অসুবিধার কারণে ঈদের দু-তিন দিন আগে থেকেই কেনাবেচা জমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।

এরইমধ্যে গাবতলী হাটের ইজারাদার লুৎফর রহমান সার্বিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন। এবার গাবতলী হাটে মোট ৯টি হাসিল ঘর বানানো হয়েছে।

যেখান থেকে ক্রেতারা সহজেই গরু, ছাগলের হাসিল করিয়ে নিতে পারবেন।

রাজধানীর কোরাবানি পশুর অধিকাংশই পাওয়া যাবে এই হাটে। গাবতলী হাটের আয়তন অনুযায়ী ৬০ থেকে ৭০ হাজার পশু ওঠানো সম্ভব। যদিও ঈদের সময় পশুর চাহিদা ও আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এক থেকে দেড় লাখ পশু হাটে ওঠানো হয়।
এবার হাটে বেশি দেখা যাচ্ছে দেশি জাতের গরু। ছোট আকৃতির এ গরুগুলোর ক্রেতা চাহিদাও রয়েছে। ঈদের হাটের আগে থেকেই আলোচনায় এবার দেশি গরুতেই বাজার সয়ালাব হয়ে যাবে।  

গাবতলী হাটের স্থায়ী গরু ব্যবসায়ী মজনু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, এবার গেরস্তরা প্রচুর গরু পেলেছে। দেশে যে গরু আছে তাতে দুই কোরবানির গরু হবে। গ্রামে প্রায় অধিকাংশ বাড়িতেই গরু আছে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ যেন ভারতের গরু না ঢোকে। আমাদের লোক গ্রাম থেকে গরু কেনা শুরু করেছে। দু’এক ট্রাক করে আসছে। গরু আসবে শুক্রবার থেকে, তবে রোববারে পুরোদমে হাট শুরু হবে।

গাবতলী হাট পরিচালনা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের তিন দিন আগ থেকে আমাদের ঈদের হাট শুরু হবে। যেহেতু এটা স্থায়ী হাট তাই সবদিনই পশু কেনা-বেচা হয়, হবে। হাটে পশু ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার সুবিধার্থে সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুরো হাট সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। তাই কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।

গাবতলী হাটে দেশি গরুর অাধিক্য/ছবি: বাদলতিনি বলেন, শুক্রবার কিছু গরু কেনাবেচা হবে। কাল গরু আসবেও বেশি। তবে রোববার থেকে শুরু হবে গরুর হাট। ওইদিন থেকে পুরোদমে কেনাবেচা চলবে।

গাবতলী হাটের নিরাপত্তার জন্য র‌্যাব, পুলিশ, ডিবি পুলিশ ছাড়াও হাট কর্তৃপক্ষের এক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন।

গাবতলী হাটের নিরাপত্তায় ১১টি ওয়াচ টাওয়ার থাকবে। এই ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো হাটের সার্বিক নিরাপত্তা দেখভাল করা হবে। এছাড়া প্রতিটি রাস্তায় স্বেচ্ছাসেবকরা থাকবেন পশু হাটে আনা থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত তদারকি করতে।

তাছাড়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে জাল টাকা শনাক্ত করতে বেশ কয়েকটি বুথ রাখা হচ্ছে। বিক্রেতাদের কেউ সন্দেহ পোষণ করলে সেই বুথ থেকে টাকা পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। এবার হাসিল মূল্য সরকার নির্ধারিত সাড়ে তিন টাকার সঙ্গে ঈদ উপলক্ষে দেড় টাকা বেশি করে দিতে হবে। অর্থাৎ, প্রতি ১০০ টাকার জন্য হাসিল মূল্য ৫ টাকা। আর প্রতি হাজারে ৫০ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।