ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিলেটে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা লক্ষাধিক পিস

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
সিলেটে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা লক্ষাধিক পিস চামড়া। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: সিলেট থেকে চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা লক্ষাধিক পিস হলেও এবার প্রতি ফুটে ১০ টাকা কমিয়ে দিয়েছে ট্যানারি মালিক অ্যাসোসিয়েশন।

গত বছর ৪০ টাকা ফুটে চামড়া কিনেন ট্যানারি মালিকরা। এবার প্রক্রিয়াজাত চামড়া কিনবেন ৩৫/৪০ টাকা করে।

আর মাঠপর্যায়ে কাঁচা চামড়ার মধ্যে গরু কিনবেন ২০/২৫ টাকা এবং খাসি-বখরি ১৪/১৫ টাকায়।
 
সিলেট থেকে সোয়া লাখ পিস পশুর চামড়া লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকছে ৮০ হাজার পিস গরুর চামড়া এবং ২২/২৫ হাজার খাসি ও ১৭ হাজার ছাগল-ভেড়ার চামড়া।
 
সিলেট শাহজালাল বহুমুখী চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর লবণজাত গরুর চামড়া ৩৫/৪০ টাকায় কিনবেন ট্যানারি মালিকরা। ফলে সিলেটের ব্যবসায়ীরা প্রতি পিস গরুর চামড়া ২০/২৫ টাকা বাজার থেকে কিনবেন। লবণজাত করে চামড়ার পিস প্রতি ৩২ টাকা দামে ঢাকায় সরবরাহ করবেন তারা।
 
তিনি বলেন, চামড়ার দাম কম হওয়াতে এ বছর প্রায় ৫০ কোটি টাকার চামড়া ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
 
শাহজালাল বহুমখী চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ শামীম আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর লবণের দাম বেশি থাকায় চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যয় বেশি পড়েছিল। কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ কোটি টাকা। ফুটপ্রতি চামড়ার দামও ছিল বেশি। এবার লবণ ৭০ কেজির বস্তা সাড়ে ৯ শ’ টাকা। গত বছর লবণের বস্তার দাম ছিল ১ হাজার ৪৫০ টাকা।
 
তিনি বলেন, লক্ষ্যমাত্রা যাই হোক নির্ভর করবে টাকা প্রাপ্তির উপর। ঢাকা থেকে যে টাকা পাওয়া যাবে, তার উপর ভিত্তি করেই সিলেটে চামড়া ক্রয় করা হবে।
 
তবে সিলেট থেকে চামড়া পাচারের আশঙ্কা করছেন না এই ব্যবসায়ী নেতা। তার মতে, সিলেটের সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার হয় না। সিলেটে যারা গরু ব্যবসায়ী আসেন, তাদের অনেকে চামড়া ক্রয় করে নিয়ে কি করেন, তা প্রশাসনকে দেখতে হবে। অবশ্য চামড়া পাচার নিয়ে এ বছর প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয়নি। পুলিশ প্রশাসন হয়তো বৈঠক আহ্বান করতে পারে।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর ঈদুল আজহায় সিলেটে চামড়ার তিনটি হাট বসে। এগুলো হলো- সিলেট নগরের রেজিস্ট্রি মাঠ, সুরমা মার্কেট ও দক্ষিণ সুরমার ভার্তখলা। সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির জবাই করা পশুর চামড়া এনে এসব হাটে বিক্রি করা হয়।
 
সিলেটে চামড়া বিক্রয়কারী শতাধিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ৬০টি সমিতির অন্তর্ভুক্ত। বাকিগুলো সমিতির বাইরে হলেও সমিতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে জানান সংশ্লিষ্টরা। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংগৃহীত চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে ঢাকায় ট্যানারিতে পাঠানো হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৮
এনইউ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।