ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ছাগলের চামড়া ছুঁয়েও দেখছেন না আড়তদাররা

শাহজাহান মোল্লা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
ছাগলের চামড়া ছুঁয়েও দেখছেন না আড়তদাররা এভাবে পড়ে আছে চামড়া। ক্রেতা নেই বললেই চলে/ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: কোরবানি পশুর লবণছাড়া কাঁচা চামড়ার বাজার শুরু থেকেই নিম্নমুখী। অনেক ব্যবসায়ী চামড়া কিনে পড়েছেন মহাবিপদে। কোথাও দাম না পেয়ে নিয়ে এসেছেন ঢাকার পাইকারি বাজার পোস্তায়। তাতেও কাজ হচ্ছে না।

দাম কম হলেও গরুর চামড়ার তবু কিছুটা গতি হয়েছে। কমবেশি যাইহোক ব্যবসায়ীরা পেয়েছেন।

কিন্তু যারা ছাগলের চামড়া কিনেছিলেন তাদের অবস্থা করুণ। চামড়া কেনা দূরের কথা, আড়তদাররা ছুঁয়েও দেখছেন না বলে জানান মোশাররফ হোসেন নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
 
লালবাগের পোস্তা চামড়াপল্লীতে ছাগলের চামড়া কিনে তাতে লবণ মাখছিলেন মোশাররফ হোসেন ও তার কর্মীরা। ছাগলের চামড়ার দর কেমন জানতে চাইলে  বলেন, দাম জিগায়া কি করবেন? নিবেন? এখন কেউ জিগায় না। প্রতিটি চামড়ায় প্রায় ৩০-৪০ টাকার লবণ লাগছে। এই চামড়া এখন কি করবো? রাস্তায় ফেলে দিয়ে যাবো?
 
মোশররফ হোসেন বলেন, ছাগলের প্রতিটি চামড়ায় ৪০ টাকা করে লোকসান। এই ব্যবসা আর করবো না।
 
বড় আকারের একটি খাসির চামড়া ৪০ টাকা দাম করছেন এক আড়তদার। চামড়াটি মহল্লা থেকে ৮০ টাকায় কিনেছেন মোশাররফ। এবার ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি মাদরাসার ছাত্ররা যে চামড়া সংগ্রহ করেছিল তার সিংহভাগই বিক্রি হয়নি।
 
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর পর্যন্ত পোস্তায় চামড়া ঢুকতে দেখা গেছে। দেশের অন্য জেলা থেকেও চামড়া আসছে। শুক্রবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত লবণছাড়া চামড়া পোস্তায় আসবে। তাই পড়তি এই দাম আরও পড়বে বলেই দাবি আড়তদারদের।
 
আড়তদার সমীর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আসলে চামড়ার সিন্ডিকেট নিয়ে যে কথা হচ্ছে সেটা আদৌ ঠিক না। আন্তর্জাতিক বাজারেই দাম কম। চামড়ার চাহিদা না থাকলে আমরা কিনে কি করবো। আর সিন্ডিকেট যদি হয়ে থাকে সেটা ট্যানারি মালিকরা করে। তাদের কারণেই চামড়ার এই দুরাবস্থা।
 
তার সঙ্গে একমত আড়তদার সামসুদ্দিনও। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এখন যে চামড়া কিনেছি সেগুলো ট্যানারি মালিকরা ন্যায্যমূল্য দেবে না। তারা মাল নিলেও টাকা পরিশোধ করে না। তাই ঝুঁকি নিয়েই চামড়া কিনছি।
 
ছাগলের চামড়ার দাম জানতে চাইলে আড়তদার সামসুদ্দিন বলেন, গরুর চামড়াই চলে না, ছাগলের চামড়া কে নেবে? ওগুলো এখন দেখার সময়ও নেই।
 
এজন্য পোস্তায় ছাগলের চামড়া নিয়ে অনেকেই মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন। শেষ পর্যন্ত এই চামড়া বিক্রি হবে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান তারা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৮
এসএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।