ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিস্টেম লস নিরুপণে বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি বড়পুকুরিয়ায়

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৮
সিস্টেম লস নিরুপণে বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি বড়পুকুরিয়ায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মূল ফটক। ছবি: বাংলানিউজ

পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে সিস্টেম লস হয়েছে কিনা তা নিরুপণের জন্য পেট্রোবাংলার পরিচালক (পিএসসি) মাহবুব ছরোয়ারকে আহ্বায়ক করে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি খনিতে এসে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটির সাত সদস্যের মধ্যে ছয় সদস্য কয়লা খনিতে আসেন।  

কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক চৌধুরী কামরুজ্জামান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার প্রাক্তন পরিচালক (খনি ও খনিজ/পরিকল্পনা) মকবুল-ই-ইলাহী, পিজিসিএল’র প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ.কে.এম শামসুদ্দীন, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের পরিচালক (ভূ-তত্ত্ব) মো. আলী আকবর এবং কমিটির সদস্য সচিব পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং) এসএম হাবিবুর রহমান।

এদের মধ্যে মকবুল-ই-ইলাহী কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তিনি আসেননি।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ফজলুর রহমান দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, কমিটির সদস্যরা রাতে কয়লা খনিতে অবস্থান করবেন এবং বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা ফিরে যাবেন।

বিসিএমসিএল কর্তৃক কয়লা উত্তোলন থেকে সরবরাহ পর্যন্ত সিস্টেম লস আছে কিনা এবং থাকলে কি পরিমাণ হতে পারে তা নির্ধারণ করে মতামত/পরামর্শ প্রদান করার জন্য ২৮ আগস্ট পেট্রোবাংলা উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কারিগরি এই কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ১০ কার্য দিবসের মধ্যে মতামত/পরামর্শসহ পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার দারপ্রান্তে উপনিত হলে ১৯ জুলাই খনির ইয়ার্ড থেকে প্রায় ২৩০ কোটি টাকার প্রায় ১ লাখ ৪৫ হাজার টন কয়লা উধাও/পদ্ধতিগত লোকসান হওয়ার ঘটনাটি ধরা পড়ে। এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কয়লা কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদকে, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) খালেদুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। খনির কোম্পানি সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আবুল কাশেম প্রধানিয়াকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়। খনির এই চার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ ১৯ কর্মকর্তার নামে দুর্নীতি দমন আইনে ২৪ জুলাই পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে বিসিএমসিএল এর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিছুর রহমান।  

মামলাটি তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঢাকা’র উপ-পরিচালক শামসুল আলম। দুদক খনির সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান ও আমিনুজ্জামান এবং মামলায় অভিযুক্ত ১৯ কর্মকর্তাসহ ২১ কর্মকর্তার দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।  

গত ৩০ আগস্ট পর্যন্ত দুদক কয়লা খনির সাবেক ও বর্তমান ৩০ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কয়লা উধাও/পদ্ধতিগত লোকসান ঘটনা তদন্তে এর আগে তিনটি কমিটি গঠন করা হলেও বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটি এটিই প্রথম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৮
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।