ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেড়েছে সবজির দাম, স্বস্তি মাছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
বেড়েছে সবজির দাম, স্বস্তি মাছে সবজি ও মাছ বাজার। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির, কমেছে মাছের দাম। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চাল, ডাল, তেলের দাম। অন্যদিকে কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মসলা জাতীয় পণ্যের।

শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।

এসব বাজার ঘুরে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে শসা, গাজর ও টমেটোর দাম।

কমেছে আদা, রসুন, পেঁয়াজের দাম।

এ বাজারগুলোতে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৭০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১১০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। এসব সবজিগুলো গত সপ্তাহে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কম দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে সিম প্রতিকেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, পটল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল ৪৯ থেকে ৫০ টাকা, উস্তা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এছাড়া প্রতিপিস লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

আর মসলা জাতীয় পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। আদা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে।

এসব বাজারে পেঁয়াজ (দেশি) প্রতিকেজি ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান) ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। রসুন (দেশি) ৬০ থেকে ৭০ টাকা, রসুন (ইন্ডিয়ান) ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

আয়েশা নামে এক ক্রেতা বলেন, আজ সব সবজির দাম বেশি রাখা হচ্ছে। দু’দিন আগে শসা বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আজ চাওয়া হচ্ছে ৬০ টাকা। অথচ বাজারে কোনো কিছুর ঘাটতি নেই।

বিক্রেতা সাব্বির বলেন, দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আমাদের হাত নেই। পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে খুচরা বাজারেও বাড়বে। আজ পাইকারি বাজারে সব সবজির দাম বেশি।

কম দামেই মাছ বিক্রি করতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। ইলিশ ৯০০ থেকে ১ কেজি ওজনের হালি ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৫০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি হালি ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে বাগদা চিংড়ি প্রতিকেজি ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, গলদা ৬০০ থেকে ৮৫০ টাকা, বাতাশা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, কাতল ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, রুই ২২০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ভোজ্যতেল লিটারপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০৮ টাকায়, মসুর ডাল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। চাল নাজির ৬০ থেকে ৮০ টাকা, মিনিকেট ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, মিনিকেট (সিরাজ) ৫৬ থেকে ৬০ টাকা, আটাস ৫০ টাকা, এলসি ৪২ টাকা, মোটা ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

মাংসের দাম আগের মতোই বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, লেয়ার ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়, গরুর মাংস বিক্রি করতে দেখা যায় ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, খাসির মাংস ৭৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির ডিমের হালি ৩২ টাকা, দেশি মুরগি ও হাঁসের ডিম প্রতি হালি বিক্রি করতে দেখা গেছে ৪৫ টাকায়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।