ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জুলাই মাসে ৮ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
জুলাই মাসে ৮ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৮ হাজার ২২৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এই অর্থ থেকে আবার যারা মূল সঞ্চয়পত্র তুলে নিয়েছেন ও উপকারভোগীদের মুনাফা পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ১৯৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। আর শুধু মুনাফা পরিশোধ করা হয়েছে ১ হাজার ৮৯০ কোটি ৩২ লাখ টাকার।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে ব্যাংক, ডাকঘর ও সঞ্চয় অধিদপ্তর থেকে গ্রাহকরা বিভিন্ন স্কিমের ৮ হাজার ২২৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনেছেন।
 
একই সময়ে মেয়াদ শেষে মূল সঞ্চয়পত্রের অর্থ ও মুনাফা পরিশোধে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ১৯৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

ফলে জুলাই শেষে সরকারের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জুলাই মাসের তুলনায় সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ কমেছে ১৫ কোটি টাকা। গত অর্থ বছরের জুলাই শেষে সরকারের সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ ছিল ৫ হাজার ৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
 
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত কয়েক মাসের তুলনায় জুলাইয়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে। বিদায়ী অর্থবছরের শেষ চার মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট ঋণ ৪ হাজার কোটি টাকার কম। বিদায়ী অর্থবছরের সবশেষ মাস জুনে সঞ্চয়পত্রে নিট ঋণ ছিল ৩ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা।
 
২০১৭ সালের মে মাসে এই ঋণ ছিল ৩ হাজার ৩শ কোটি টাকা, পর্যায়ক্রমে এপ্রিলে ছিল ৩ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা, মার্চে ৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা। আবার ফেব্রুয়ারিতে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণ ছিল ৪ হাজার ১৫৬ কোটি টাকা, জানুয়ারিতে ৫ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা।
 
২০১৭-১৮ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। যা ঘাটতি বাজেট অর্থায়নে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা (সংশোধিত) থেকেও ২ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা বেশি।
 
বিদায়ী অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে জাতীয় সঞ্চয়স্কিমসহ সব ধরনের সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে ২৬ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৮
এসই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।