ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাড়ছে ইলিশের দাম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
বাড়ছে ইলিশের দাম বাড়ছে ইলিশের দাম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সস্তায় ইলিশ খাওয়ার মৌসুম শেষ হতে চলেছে। আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে ইলিশ আহরণে। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বাজারেও। প্রতি হালি ইলিশের দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের নিম্নভূমিতে বন্যার প্রভাবে রাজধানীতে গত সপ্তাহে সবজির দাম বাড়ার পরে সেখানেই আটকে আছে। বেশিরভাগ সবজির দাম এখন ৬০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।

মুরগির দামও গত সপ্তাহে বাড়ার পরে আর কমেনি।

শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রামপুরা ও মালিবাগ বাজার থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

মালিবাগ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। আর ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। তবে ওজনে বড় ইলিশের দাম তুলনামূলক বেশি। দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকায়।

ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশের ব্যবসা আর এক সপ্তাহ। এরপরেই প্রায় ১ মাসের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। এজন্য মানুষ বেশি বেশি ইলিশ কিনে ফ্রিজে রাখছেন। এ কারণে দাম বাড়তে শুরু করেছে।

জানা গেছে, মা ইলিশের প্রজনন মৌসুম আশ্বিন মাসের পুর্ণিমার আগে ও পরে মোট এক মাস। এ সময়ের মধ্যেই মা ইলিশ নদীতে এসে ডিম দেয়। প্রতি বছরের মতো এবারও ইলিশের নিরাপদ প্রজননের জন্য আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য অধিদফতর।

এদিকে, বন্যার প্রভাবে গত সপ্তাহে সবজির দাম বাড়ার পরে আর কমছে না। বরং শসা ও বেগুনের দাম আরো বেড়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে। শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর ১০০ থেকে ১১০ টাকা, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, পটল ও ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া টমেটো ১০০ থেকে ১১০ টাকা, কচুমখি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা ও চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি, বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং ফুলকপি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। প্রতি হালি লেবু ৩০ টাকা এবং প্রতিহালি কাঁচকলা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ২৫ থেকে ২৮ টাকায়।

এদিকে, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম গত সপ্তাহে বাড়ার পরে সেখানেই স্থির রয়েছে।

ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। আর পাকিস্তানি কক ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খামারের মুরগির ডিম দুই সপ্তাহ আগে ৩২ থেকে ৩৪ টাকা হালি দরে বিক্রি হলে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা। তবে ডজন হিসেবে কিনলে ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর দেশি মুরগির ডিম মিলছে প্রতি ডজন ১৮০ টাকায়।

তবে গরুর মাংস আগের মতোই ৪৭০ থেকে ৫০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।

এদিকে, আগের মতোই দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। দেশি রসুনের দাম নেওয়া হচ্ছে ৪৫ থেকে ৬০ টাকা প্রতিকেজি।

চাল-ডালসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার আগের মতোই রয়েছে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৮
এজেড/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।